মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সবার জন্য টিকা নিশ্চিতে জাতিসংঘকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ

আপডেট : ১৮ জুন ২০২১, ২০:১৩

সবার জন্য করোনার টিকা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের প্রতি অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। জাতিসংঘ সদর দফতরে মহাসচিবের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ অনুরোধ জানান তিনি। শুক্রবার (১৮ জুন) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনকে জনসাধারণের সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করার জন্য মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব সাম্প্রতিক জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা সম্পর্কে উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।’  

ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি: বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন

তিনি জাতিসংঘের কার্যক্রমে বিশেষত শান্তিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন দ্বিতীয় মেয়াদে পুনরায় নিয়োগের জন্য মহাসচিবকে অভিনন্দন জানান এবং তার প্রথম মেয়াদে জাতিসংঘের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে অব্যাহত মনোযোগের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন।  

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মহাসচিবের ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ এখন আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রকাশ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরেও অনেক প্রভাবশালী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়িয়েছে, যা হতাশাজনক।’ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতা উল্লেখ করে মহাসচিব বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।  

চীনা ভ্যাকসিন ‘করোনা ভ্যাক’ অনুমোদন

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ায় বিশ্ব বাংলাদেশের উদারতা ভুলে যাবে না। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহাসচিবকে ভাসানচরের সুবিধাগুলি সম্পর্কেও অবহিত করেন এবং সেখানে জাতিসংঘের কার্যক্রমের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের মহাসচিবকে জানান, বাংলাদেশ এসডিজি বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। তবে এসডিজির অর্থায়ন সুরক্ষায় কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

ইত্তেফাক/এএএম