বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে নারী পাচার করতো নদী

আপডেট : ২২ জুন ২০২১, ১৯:০৫

বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে ভারত, মালয়েশিয়া ও দুবাই নারী পাচার করত নদী। মূলত তিনি ওই তিন দেশে নারী পাচারে সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করতেন। পাচারের কৌশল হিসেবেই তিনি একেক সময় একেক নাম ব্যবহার করতেন। পাচার কাজে অনন্ত ১০টি নাম ব্যবহার করতো নদী। 

মঙ্গলবার (২২ জুন) সকালে রাজধানীর তেজগাঁও ডিসি কার্যালয়ে এসব কথা বলেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ। গত সোমবার (২১ জুন) নদী আক্তার ইতিসহ মানব পাচার চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে তেজগাঁও বিভাগের হাতিরঝিল থানা পুলিশ। গ্রেফতার অন্যরা হলেন- আল আমিন হোসেন (২৮), সাইফুল ইসলাম (২৮), আমিরুল ইসলাম (৩০), পলক মন্ডল (২৬), তরিকুল ইসলাম (২৬) ও বিনাশ শিকদার (৩৩)। 

মেয়েদের যশোর সীমান্তে বিভিন্ন বাড়িতে রেখে সুযোগ মতো ভারতে পাচার করত চক্রটি। পাচারকারীরা প্রত্যেক মেয়ের জন্য স্থানীয় এক ইউপি সদস্যকে এক হাজার করে টাকা দিতো। পাচারকালে কোনো মেয়ে বিজিবির কাছে আটক হলে সেই ইউপি সদস্য আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসতো বলে জানান উপ কমিশনার।

এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, পাচার নারীদের কাছে তিনি নিজেকে নদী নামে পরিচয় দিলেও ভারতে সবাই তাকে ইতি নামে চেনেন। ভারতীয় আধার কার্ডে তার নাম জয়া আক্তার জান্নাত। বাংলাদেশি পাসপোর্টে নুর জাহান, সাতক্ষীরা সীমান্তে জলি আর যশোর সীমান্তে তিনি প্রীতি নামে পরিচিত।

তিনি বলেন, গ্রেফতার সাইফুল ইসলামের শর্শার পাঁচভুলট বাজারে মোবাইল রিচার্জ ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা আছে। মানব পাচারে জড়িত ইসরাফিল হোসেন খোকন, আব্দুল হাই, সবুজ, আল আমিন ও একজন ইউপি সদস্য তার মাধ্যমে মানব পাচার থেকে অর্জিত অর্থ বিকাশে লেনদেন করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে সে মানব পাচারে জড়িত ব্যক্তিদের সতর্ক করে। বিকাশ ট্রানজেকশনে ব্যবহৃত মোবাইলটি জব্দ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার পলক মণ্ডল আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিতে আসা গ্রাম্য দরিদ্র মেয়েদের ব্যাঙ্গালুরে তাসলিমা ওরফে বিউটি নামে একজনের কাছে পাঠানোর মাধ্যমে নারী পাচারের হাতেখড়ি। পরে বাংলাদেশ থেকে পাচারকারীরা মেয়েদের আধার কার্ড প্রস্তুত করে দেওয়ার পাশাপাশি নিরাপদ ‘সেফ হোম’ এ অবস্থান এবং ব্যাঙ্গালুরে নির্ধারিত স্থানে পাঠানোর দায়িত্ব নেয়।

ইত্তেফাক/এসআই