বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সীমিত অনুমোদন পেলো বুয়েট উদ্ভাবিত ‘অক্সিজেট’

আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২১, ১৪:১০

অক্সিজেনের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উদ্ভাবিত ‘অক্সিজেট’ নামের যন্ত্রটির উৎপাদন ও ব্যবহারের জন্য ‘সীমিত’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) এ অনুমোদন দেয়। 

বৃহস্পতিবার ডিজিডিএর উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রাথমিকভাবে যন্ত্রটির ২০০ ইউনিট উৎপাদন করে তা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে ফলাফল পর্যবেক্ষণ করে বড় আকারে উৎপাদন ও ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। তীব্র শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদেরও হাসপাতালের সাধারণ বেডে রেখেই উচ্চমাত্রায় অক্সিজেন-সহায়তা দেওয়া যায় এ যন্ত্রের মাধ্যমে। 

মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘অনেকটা ট্রায়ালের অংশ হিসেবে জরুরি ব্যবহারের জন্য স্বল্পসংখ্যক অক্সিজেটের (২০০ ইউনিট) সীমিত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অক্সিজেটের পোস্ট–মার্কেটিং ভিজিল্যান্স (বিপণন-পরবর্তী সতর্কতা) করতে হবে। প্রত্যেক রোগীর তথ্য রাখতে হবে। দেখতে হবে যে এতে রোগীর উপকার হচ্ছে কি না, কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না কিংবা কোনো ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে কি না।’

বুয়েটের তৈরি ‘অক্সিজেট’ ডিভাইস প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনতে হাইকোর্টের পরামর্শ

চিকিৎসা ও উদ্ভাবনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, হাসপাতালগুলোর সাধারণ বেডে রোগীকে প্রতি মিনিটে সর্বোচ্চ ১৫ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন দেওয়া যায়। তার বেশি অক্সিজেনের দরকার হলে ‘হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা’ লাগে কিংবা রোগীকে আইসিইউতে নিতে হয়। কিন্তু বিশেষ ওই ক্যানুলা ও আইসিইউ উভয়ের সংকট থাকায় অনেক রোগীকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে অক্সিজেটের ব্যবহার বেশ কার্যকর বলে জানিয়েছেন উদ্ভাবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

এ যন্ত্রের মাধ্যমে সাধারণ বেডে রেখেই রোগীকে ৬০ লিটার পর্যন্ত উচ্চমাত্রার অক্সিজেন দেওয়া যায় বলে জানান উদ্ভাবনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

গত বছরের মে-জুন মাসের দিকে অক্সিজেট নিয়ে কাজ শুরু করেন বুয়েটের একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়টির জৈব চিকিৎসা প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তওফিক হাসান তার চার শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে কাজটি শুরু করেন। চার শিক্ষার্থী হলেন-মীমনুর রশিদ, ফারহান মুহিব, কায়সার আহমেদ ও কাওসার আহমেদ। 

পরে জৈব চিকিৎসা প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ তারিক আরাফাত, সহকারী অধ্যাপক জাহিদ ফেরদৌস ও সাঈদুর রহমান বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের সহযোগিতা করেন। 


ইত্তেফাক/এএএম