বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি নিলেই কঠোর ব্যবস্থা: দুদক চেয়ারম্যান

আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:৩৮

এসএসসি পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণের নামে কিংবা নির্বাচনী ( টেস্ট পরীক্ষা) পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অনৈতিকভাবে পাশ করিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়ে অবৈধ অর্থ গ্রহণ করলে দুদক সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, যখনই কমিশনে এ মর্মে অভিযোগ আসে, কতিপয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত  অর্থ গ্রহণ করা হচ্ছে, দুদক তাৎক্ষণিকভাবেই দেশব্যাপী এ সকল অনিয়ম প্রতিরোধে অভিযান শুরু করে। রাজধানীসহ দেশের বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুদকের অভিযানের কারণে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ বন্ধ হয়েছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত অর্থ ফেরত প্রদানে অঙ্গীকার করেছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবদের কাছে আমার আহ্বান, আপনারা নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ দিবেন না, সম্মানিত শিক্ষকদের কাছে আহ্বান, আপনারা নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত ফি চাবেন না এবং কোনো অবস্থাতেই টেস্ট পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিবেন না।

তিনি আরও বলেন, দুদক শুধু অভিযানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে বিষয়টি সরকারকে অবহিত করেছে। আমার জানা মতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও দুদকের অনুরোধে পদক্ষেপ নিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কঠোর অবস্থানে আছেন, শিক্ষামন্ত্রীও ব্যবস্থা নিবেন। 

এক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘যদি কেউ ফেরতের কথা বলে- ইটস রং। অপরাধ সংগঠিত হয়ে গেছে ফেরতের কোনো বিষয় না। আমরা অ্যাকশনে যাব। এ বিষয়ে দুদকে কয়েক হাজার অভিযোগ এসেছে। নিয়মিত অফিযোগ আসছে।

আরও পড়ুন: বিদেশি টিভি চ্যানেলে দেশিপণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের নির্দেশ

তিনি বলেন, যারা দেশের আইন মানছে না, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হচ্ছেন। এ সব লোকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। কোথাও তিন হাজার কোথাও চার হাজার, এক সাবজেক্টে দুই হাজার, এটাতো হতে পারে না। আমরা হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট কীভাবে করবো?। তিনি সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন, আমরা সম্মিলিতভাবে এ জাতীয় দুর্নীতি প্রতিরোধ করে আগামী প্রজন্মকে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলি।

ইত্তেফাক/এমআই