শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাংলাদেশ বিষয়ে মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন একপেশে: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০১৯, ২০:২৫

বাংলাদেশ বিষয়ে মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনকে একপেশে এবং গুটিকতক সংস্থার প্রতিবেদনভিত্তিক বলে অভিহিত করে প্রত্যাখান করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে প্রতিবেদনটি একপেশে এবং কেবলমাত্র কিছু সংস্থার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি অসম্পূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য নয় বলে আমরা এই প্রতিবেদন প্রত্যাখান করছি। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল অত্যন্ত উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ। নির্বাচন পূর্ববর্তী জরিপে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে ৫৭% থেকে ৬৩% ভোট পাবার সম্ভাবনা উল্লেখ ছিল এবং প্রকৃতপক্ষে প্রায় ১০ কোটি ৪ লাখ ভোটারের ৫৮% ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় লাভ করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের সাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন'।

তিনি আরও বলেন, 'অপরদিকে  বিএনপি প্রথম থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে ছিল। ৩০০ আসনে ৮০০ প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্যে রেকর্ড গড়লেও অনেক এলাকায় পোস্টারও লাগায়নি তারা। নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনকে বিতর্কি করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় সারাবছরই ২৩ লাখ মানুষ কারাগারে থাকে। কোনো দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে এটি সর্বোচ্চ। কারাগারে কালো মানুষের সংখ্যা সাদাদের ৬ গুণ। পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার কালো মানুষের সংখ্যা সাদাদের আড়াই গুণ। এমনকি আইনের বাইরে সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চাওয়া পরিবারগুলোর সন্তানদের বাবা-মা থেকে পৃথক করে রাখার মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সেখানে ঘটে। অন্য দেশের সমালোচনা করার আগে নিজের দেশের দিকেও নজর দেয়া উচিত'।

আরও পড়ুন:  সিটি ব্যাংকে নিয়ে এলো নারীদের জন্য বিশেষায়িত সেবা ‘সিটি আলো’

কিন্তু এই প্রতিবেদন দুইদেশের সম্পর্কের কোনো প্রভাব ফেলবে না উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অত্যন্ত বন্ধুপ্রতিম দেশ। যুক্তরাষ্ট্রর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ রিপোর্ট কোনো প্রভাব ফেলবে না'। বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে বিরূপ মন্তব্যকারী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, 'আমরা সমালোচনাকে সমাদৃত করি এবং চাই, সমালোচনা অন্ধ না হোক'। 

ইত্তেফাক/জেডএইচডি