বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

উপজেলা নির্বাচন

তৃতীয় ধাপে ভোটের হার ৪১.৪১ শতাংশ

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০১৯, ০৩:১১

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৪১ দশমিক ৪১ শতাংশ। যেসব উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোট হয়নি কিন্তু অন্য দুটি পদে ভোট হয়েছে, সেসব উপজেলার ভোটের হার পাওয়া যায়নি। প্রথম ধাপে ভোট পড়েছিল ৪৩ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ধাপে ভোট পড়ে ৪১ দশমিক ২৫ শতাংশ। সে হিসেবে দ্বিতীয় ধাপের চেয়ে সামান্য বেশি ভোট পড়েছে তৃতীয় ধাপে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত রবিবার তৃতীয় ধাপে ১২৫টি উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা ছিল। এরমধ্যে ছয়টি উপজেলায় কোনো পদে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভোট হয়নি। ওইসব উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়েছেন। আদালতের নির্দেশে দুটি উপজেলায় (চট্টগ্রাম জেলার লোহাগড়া ও কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া) এবং ইসি একটি উপজেলার (কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি) ভোট স্থগিত করে। বাকি ১১৬টি উপজেলায় ভোট নেয়া হয়। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় ৯১টি উপজেলায়। এই ৯১টি উপজেলার মধ্যে ৩৭টিতে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। তৃতীয় ধাপে ১২২ উপজেলার মধ্যে আওয়ামী লীগের ৮৩ প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে ৩১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পার্টি-জাপা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন একজন আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩৮ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপজেলাগুলোতে ভোটের হার তুলনামূলক কম। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল এক কোটি ৮২ লাখ এক হাজার ৭৭০ জন। ভোট দিয়েছেন ৭৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৬ জন। এর মধ্যে বাতিল ভোটের সংখ্যা এক লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৩টি। তৃতীয় ধাপে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৭২ দশমিক ৯১ শতাংশ। এই উপজেলায় মোট ভোটার ছিল ৭৫ হাজার চারজন। ভোট দিয়েছেন ৫৪ হাজার ৬৮৬ জন। গোপালগঞ্জে চেয়ারম্যান পদও উন্মুক্ত রেখেছিল আওয়ামী লীগ। এখানে নৌকার কোনো প্রার্থী ছিলেন না। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ১৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ উপজেলায় মোট ভোটার ছিল পাঁচ লাখ দুই হাজার ৫৬টি। ভোট পড়েছে ৯৬ হাজার ৬৮৩টি।

২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তুলনায় এবার অনেক কম ভোট পড়েছে। তখন ছয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন হয়। সেই সময়ে প্রথম ধাপে ৬২ দশমিক ৪৪ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ৬৩ দশমিক ৩১ শতাংশ, তৃতীয় ধাপে ৬৩ দশমিক ৫২ শতাংশ, চতুর্থ ধাপে ৫৬ দশমিক ১২ শতাংশ, পঞ্চম ধাপে ৬০ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ষষ্ঠ ধাপে ৫৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ ভোট পড়ে। ১০ বছর আগে ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি তৃতীয় উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৬৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। এবার ভোট কম পড়ার কারণ হিসাবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার বিরোধী বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে। এই বর্জনের কারণে বেশিরভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এ কারণে ভোটারদের মধ্যে উত্সাহ কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।