শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘ঘুষ নেওয়ার আরো তথ্য আছে আমার কাছে’

আপডেট : ১১ জুন ২০১৯, ২২:০০

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরে ঘুষ নেওয়ার আরো তথ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান। 

তিনি বলেছেন, অডিওর পক্ষে সব ধরণের তথ্য প্রমাণ আছে। দুর্নীতি দমন কমিশন কমিটি করে ঘুষের অডিওটির সত্যতা যাচাই করুক, সংশ্লিষ্ট কমিশনে পাঠাক। এই ভোকালটা উনার (এনামুল বাছিরের) কিনা দেখুক। তাহলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। 

এদিকে মঙ্গলবার দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এবং সেটাকে কেন্দ্র করে যে অডিও প্রকাশ হয়েছে তাকে সম্পূর্ণ বানোয়াট বলে অভিহিত করেছেন। 

অডিও ফাঁসের বিষয়ে ডিআইজি মিজানুর রহমান বলেন, নিজেকে সেভ করার জন্য এটা করেছি। আমার কাছে সব রেকর্ড আছে। আমাকে যখন ডাকবে তখন সব দেখাবো। তিনি আরো বলেন, দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির বিভিন্নভাবে তাকে ঘুষের জন্য প্রেশার ক্রিয়েট করে। বারবার দেখা করতে চায়। এর প্রেক্ষিতে তিনি বাছিরের সঙ্গে দেখা করেন এবং ঘুষ দেন। 

ডিআইজি মিজান বলেন, যখন দেখলাম যে এই লোকটা নিজেই দুর্নীতিবাজ, তখন সেটা তো প্রমাণ করতে হবে। আমি এই বিষয়টাই প্রমাণ করেছি। আমি ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়েছি। আমার স্বজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি তার সব তথ্য আছে। আমি যথাসময়ে অনুসন্ধান কমিটিকে প্রমাণ দেবো।

দুদকের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি কমিশনের কাছে অন্যায় কিছু চাচ্ছি না। আইন অনুযায়ী ন্যায়বিচার চাচ্ছি। উনারা যদি সেটা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমাকে আইনি আশ্রয় নিতে হবে। আমি আশা করবো তদন্ত কর্মকর্তা কোনও রাগ-অনুরাগের বশবর্তী হয়ে নয়, স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিশনের একজন সদস্য হিসেবে আমার ওপর জাস্টিস অ্যাপ্লাই করবেন।

প্রসঙ্গত, নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। 

সেই অনুসন্ধান চলার মধ্যেই ডিআইজি মিজান দাবি করেন, তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা বাছির। এ বিষয়ে ডিআইজি মিজান দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের সঙ্গে ঘুষ সংক্রান্ত অডিও ফাঁস করেন। ঘুষ নেয়ার এ অভিযোগের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তথ্য ফাঁসের অভিযোগে দুদক এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। একইসঙ্গে তিনি ঘুষের টাকা নিয়েছেন কিনা, নিলে সেই টাকা কোথায় আছে, এ বিষয়ে আলাদা তদন্ত শুরু করেছে দুদক।  

ইত্তেফাক/জেডএইচ