বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অরিত্রীর বা-মা’র সঙ্গে শিক্ষকরা নির্দয় আচরণ করেন: তদন্ত কমিটি

আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:২২

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর বাবা-মা’র সঙ্গে  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ও শিফট ইনচার্জ নির্মম-নির্দয় আচরণ করেন। যা অরিত্রীকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে এমনটি প্রতীয়মান হয়েছে। বুধবার দুপুরে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। 

তদন্ত কমিটির সুপারিশ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, অরিত্রীর বাবা-মা আবেদন নিয়ে এলে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শিফট ইনচার্জ (প্রভাতী শাখা) জিনাত আক্তার, শ্রেণি শিক্ষক- এই তিনজন ভয়ভীতি দেখান। তার বাবা-মা’র সঙ্গে অধ্যক্ষ ও শিফট ইনচার্জ নির্মম আচরণ করেন। যা অরিত্রীকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে। 

তিনি আরো বলেন, অরিত্রীর বাবা-মা’র প্রতি অসম্মানের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি বলেই তাকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে; তদন্ত কমিটির কাছে এমনটি প্রতীয়মান হয়েছে। যার দায় কোনোভাবেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিফট ইনচার্জ ও শ্রেণি শিক্ষিকা এড়াতে পারেন না। এই তদন্ত কমিটির একটি কপি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে পাঠানো হবে বলে জানান মন্ত্রী।

প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বহুদিন ধরে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ নেই। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে চলছে। বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা নিয়ম অনুসরণ করে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়নি।

আরো পড়ুন: তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে র‍্যাব-পুলিশকে চিঠি

মন্ত্রী আরো বলেন, ম্যানেজিং কমিটি যদি হাতগুটিয়ে বসে থাকে, তারাও এর মধ্যে পড়ে যাবে। তারা যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয়, বোঝা যাবে এই আত্মহত্যায় তাদেরও প্ররোচনা আছে।

ভিকারুননিসার বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাহ্যিক একটা সুনাম আছে। এবার এখন এর আসল চেহারা উন্মুক্ত হয়েছে। আমরা এই চেহারাটা খুলে দেব। প্রতিষ্ঠানটিকে সত্যিকার অর্থে ভালোর দিকে নিয়ে যাওয়া যায় সেই চেষ্টা আমরা করব।

নিয়মের বাইরে এই স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী ভর্তি করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে ১০ লাখ টাকা লাগে। সেটা বন্ধ করার জন্য লটারি পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। দেখা গেছে, ভর্তির যে অনুমতি আছে, এর চেয়ে অনেক শিক্ষার্থী বেশি ভর্তি করে। এটা আরও বড় অনিয়ম। অনুমোদন না নিয়েই স্কুলে শাখা খোলে জানান মন্ত্রী।

ইত্তেফাক/জেডএইচ