শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ডেঙ্গু পরিস্থিতি: আক্রান্ত আরো ১৪৪৬ জন, দুই গৃহবধূর মৃত্যু

আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০১৯, ০৯:৪৭

রাজধানীসহ সারাদেশের সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়তশাসিত হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমে আসছে। চলতি বছর মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৫৪ হাজার ৯৫৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মোট ৬১ হাজার ৩৮ জন ভর্তি হলেও গতকাল শুক্রবার সারাদেশের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মাত্র ৬ হাজার ৩৫ জন ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে রাজধানীতে ৩ হাজার ৪১১ জন ও ঢাকা বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২ হাজার ৬২৪ জন। শতকরা হিসাবে ৯০ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ ২২ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে গতকাল ২৩ আগস্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশের হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন নতুন আরো ১ হাজার ৪৪৬ জন রোগী। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার ৪১টি সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে ৬৮৯ জন ও বিভাগীয় হাসপাতালে ৭৫৭ জন ভর্তি হয়েছেন। সরকারি হিসাবে মোট ৮০জন রোগীর মৃত্যু পর্যালোচনা করে ৪৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে।

ডেঙ্গুতে গতকাল আরো দুই জন মারা গেছেন। শাহানারা খাতুন নামের ৩৭ বছর বয়সি এক নারী মারা গেছেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী তিনি। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিত্সকের পরামর্শে খুলনায় নেওয়ার পথে বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে মারা যান শাহানারা। এছাড়া নাটোরের বড়াইগ্রামে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ফরিদা বেগম (৪৮) নামে আরেক গৃহবধূ মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২১, ২২ ও ২৩ আগস্ট রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন যথাক্রমে ৭১১, ৭৬১ ও ৬৮৯ জন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন যথাক্রমে ৭৬৪, ৭৮৯ ও ৬১০ জন। এ তিন দিনে ঢাকার বাইরে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন যথাক্রমে ৯১৫, ৮৩৬ ও ৭৫৭ জন এবং হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন যথাক্রমে ১০৫৪, ৯৩৯ ও ৯৪৮ জন।

আরও পড়ুন: সাত দিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়ল ২০ টাকা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা আগের চেয়ে বহুলাংশে বেড়েছে। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে চিকিত্সক-নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে ডেঙ্গু রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। সার্বিকভাবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে বলে তিনি জানান।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ‘অবদানে’র জন্য মন্ত্রীকে সম্মাননা

প্রাণঘাতী ডেঙ্গু নিয়ে দেশজুড়ে উদ্বেগের মধ্যেই মশাবাহিত এই রোগ নিয়ন্ত্রণে ‘অবদানে’র জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের হাতে সম্মাননা তুলে দিল একটি সংগঠন। শুক্রবার এফডিসিতে ‘শুধু সরকারি প্রচেষ্টা নয়, জনসচেতনতাই পারে ডেঙ্গু প্রতিরোধ’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শেষে ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় সর্বাত্মক চেষ্টার জন্য’ তার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বিতর্কের আয়োজক প্রতিষ্ঠান ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ইত্তেফাক/কেকে