শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রোহিঙ্গা সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশিদের সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:৩৩

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার ১৩-১৫ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার সফর করেছেন। এই সফরে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং তাদের আশ্রয় দেওয়া স্থানীয় মানুষদের সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তহবিল পায় এমন সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। 

চলমান রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কটে মানবিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বিশ্বের শীর্ষে। ২০১৭ সালের আগস্টে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৫৫২ কোটি ৮০ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই সংকটে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কক্সবাজারের স্থানীয় বাংলাদেশিদের সাহায্য করছে। এই সহায়তা এলাকাবাসীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ এবং অর্থনৈতিক কাজ ও শিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর কার্যক্রমের মাধ্যমে স্থানীয় বাংলাদেশিদের জীবনমানের উন্নতিতে ভূমিকা রাখে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বর্ষা এবং ঘূর্ণিঝড় মৌসুম মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি, অবকাঠামো এবং আশ্রয়ের উন্নয়নে মানবিক সাহায্য সংস্থা এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায়ও সহায়তা যোগায়।

আরও পড়ুন : বাংলাদেশে এসেছেন ভারতের কোস্ট গার্ড মহাপরিচালক

এই অর্থ সহায়তা ১৯৭১ সাল থেকে এপর্যন্ত বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ৫৮,৮০০ কোটি টাকার বেশি উন্নয়ন সহায়তার অতিরিক্ত। কেবল ২০১৮ সালেই যুক্তরাষ্ট্র ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নতি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও অনুশীলনকে এগিয়ে নেওয়া, পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার সক্ষমতা বাড়ানোর বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমানের উন্নতির জন্য ১,৮৩৯ কোটি টাকা প্রদান করেছে।   

স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং বাংলাদেশ সরকারের জন্য রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট যে চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র তা উপলব্ধি করতে পারে। বিপন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য হৃদয় ও সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার যে উদারতা দেখিয়েছে তা বিশ্ববাসীর জন্য একটি উদাহরণ। মানবিকতার নীতি বহাল থাকার পাশাপাশি কক্সবাজারের সবার উপকার হয় এমন উপায়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় আমরা বাংলাদেশ সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং এনজিও অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা করি। 

ইত্তেফাক/কেআই