বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

আপনার সন্তানকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে দিন: সজীব ওয়াজেদ

আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ০১:৫৩

'আপনার সন্তানকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে দিন। তাদের ভুল করতে দিন। কেননা ভুল থেকে আমরা যে শিক্ষা পাই, তা কখনো ভুলি না।'- অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে কথাগুলো বলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীতে আয়োজিত 'ইয়াং বাংলা উইথ সজীব ওয়াজেদ' আলোচনা অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেন তিনি।

 

এ সময় তিনি আরো বলেন, 'এখনকার তরুণেরা দেশের দিকে হাত পেতে থাকে না। আজকের তরুণদের দেখে আমি গর্বিত। তারা সরকারের কাছে হাত পেতে নেই। আমরাই পারি, আমাদের তরুণরাই পারে। তারা নিজ উদ্যোগে দেশকে এবং দেশের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।'

 

সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তরুণদের কাছ থেকে দেশকে নিয়ে তাদের ভাবনার কথা শোনেন সজীব ওয়াজেদ। অনুষ্ঠানে তরুণদের বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তরও দেন তিনি।

 

ইয়াং বাংলার বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা শেষে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে তিনি বলেন, আমাদের তরুণরা একটু প্রশিক্ষণ পেলেই এগিয়ে যাবে। এখনো বিশ্বে রোবটিক্স, আইওটি, এআই এবং এ ধরণের সেক্টরগুলোর বিশেষ কোন নেতৃত্ব নেই। আমাদের তরুণরা সঠিক প্রশিক্ষণ পেলে এই ক্ষেত্রগুলোতে নেতৃত্ব দেবে।

 

বর্তমানে কোন উন্নয়ন কার্যক্রম এককভাবে শহর কেন্দ্রিক নয় জানিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে সজীব ওয়াজেদ বলেন, আমরা দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ফাইবার অপটিকাল লাইন পৌঁছে দিচ্ছি। এখন পর্যন্ত আড়াই হাজার ইউনিয়নে তা পৌঁছে গেছে। সেই সঙ্গে স্টার্টআপ তৈরি, ইনোভেশন এবং উদ্যোক্তা তৈরির জন্য নেয়া সরকারি প্রশিক্ষণগুলো কিছুদিনের মধ্যেই সারা দেশ থেকে আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি। স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিকে সকল স্কুলে একটি করে ওয়াই ফাই জোন করার বিষয়েও সরকার কাজ করছে বলে জানান তিনি।

 

এ সময় সজীব ওয়াজেদ বর্তমান তরুণদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার সন্তানকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে শেখান। ২৫ বছর বয়সে কেই বাচ্চা বা শিশু থাকে না। অথচ আমার দেশে ২৫ বছর বয়সী একজন নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও খুলতে পারে না। তাহলে ভবিষ্যতে তারা নিজ পায়ে কবে দাঁড়াবে! তাদেরকে চাকরির কথা না বলে নিজ উদ্যোগে কাজ করতে বলুন। তাদের ভুল করতে দিন। কেননা নিজের ভুল থেকে যে শিক্ষা হয়, তা আমরা সহজে ভুলি না।

এ সময় উপস্থিত তরুণদের গ্রহণ করা বেশ কিছু উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে সজীব ওয়াজেদ বলেন, শুধু বিসিএস-এর চিন্তা করা স্বার্থপরের মত এক চিন্তা। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অফিস। নিজের পরিবার নিয়ে ভালো থাকা। তারপর পেনশন। কিন্তু আপনি সরকারের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা থেকে আরো অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আপনার আয় থেকে আয়কর লাভ করে রাষ্ট্র। আপনার প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের আয় থেকে রাষ্ট্র আয় পাবে। রাষ্ট্র সেই আয় দেশের জনসাধারণের জন্য কাজে লাগাতে পারবে। তাই নিজ উদ্যোগে কাজ করুন। আপনারা নিজেরা কোম্পানি খুলুন।

আরো পড়ুন : বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে ক্রিকেটাররা: বিসিবি সভাপতি

অনুষ্ঠানে ইয়াং বাংলার নেয়া 'ভিশন ২০২১ ইন্টার্নশিপ' সম্পর্কে আলোচনায় তরুণদের দেয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে সজীব ওয়াজেদ বলেন, আমরা সকল মন্ত্রণালয়ে ইন্টার্নশিপ চালু করতে চাই। কিন্তু যে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব এক্টিভ, তারা দ্রুত এ কার্যক্রম শুরু করেছে। বাকিরা হয়ত শুরু করবে। তবে জেলা পর্যায়ে ডিসি অফিসে ইন্টার্নদের কাজে লাগানোর প্রস্তাবটি খুবই ভালো। আমরা এই প্রস্তাবের নিরিখে কাজ করব।

 

উপস্থিত সকল তরুণদের উদ্দেশ্যে সজীব ওয়াজেদ বলেন, আজ ইয়াং বাংলার মাধ্যমে যে উদ্যোগগুলো নেয়া হচ্ছে তা কিন্তু সরকারি উদ্যোগ নয়। মাথায় রাখবেন, ইয়াং বাংলা সিআরআই-এর প্রতিষ্ঠান। আর সিআরআই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা। সুতরাং আপনারা ইয়াং বাংলার মাধ্যমে যে দেশ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন তা আওয়ামী লীগের কারণে সম্ভব হয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফারহাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ ও ২০১৭ সালের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী জহির ইকবাল নান্নু। এ ছাড়াও অংশগ্রহণকারী হিসেবে ছিলেন বিগত তিনবার জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী, ইয়াং বাংলার জেলা কো-অর্ডিনেটর, ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর ও স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপের অংশগ্রহণকারীরা।

 

ইয়াং বাংলা

দেশের বৃহত্তম ইয়ুথ প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা বরাবরের মতই তরুণদের দেশ গঠনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে আত্মপ্রকাশ লাভের পর থেকে যুগোপযোগী ও প্রগতিশীল এই সংগঠনটি তরুণদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তার বৈচিত্র্যময় সব কার্যক্রমের মাধ্যমে।

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড

দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের কাছে অনুপ্রেরণার নাম জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। দেশ গঠনে তরুণদের কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এই অ্যাওয়ার্ড বর্তমানে কয়েক হাজার তরুণ উদ্যোক্তাকে দেশ গঠনে অনুপ্রেরণা প্রদান করছে। তৃতীয়বারের মত জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন চলছে। এর আগে ২০১৫ সালে ও ২০১৭ সালে ৩০ জন করে মোট ৬০ জনকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।

এই অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের জন্য মাইক্রোসফট কম্পিউটার ল্যাব তৈরি করে দেয়ার পাশাপাশি তরুণ উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে চীন ও ভারতে সফরের ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করেছে ইয়াং বাংলা। শুধু তাই নয়, এই তরুণদের কর্ম পরিকল্পনা ও উদ্যোগগুলোকে মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার এবং স্থানীয়ভাবে সহায়তা করে আসছে ইয়াং বাংলা।

ভিশন ২০২১ ইন্টার্নশিপ

ইয়াং বাংলার অসংখ্য কার্যক্রমের মধ্যে অভিজ্ঞতা অর্জনের এক অনন্য দ্বার উন্মোচন করেছে ইন্টার্নশিপ কার্যক্রম ‘ভিশন ২০২১ ইন্টার্নশিপ’। তরুণদের কর্মক্ষম করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইয়াং বাংলা ২০১৫ থেকে শুরু করে এ কার্যক্রম। শুরুতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এবং পরিসংখ্যান ব্যুরোর মত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রথমবারের মত ইন্টার্নের সুযোগ তৈরি করে ইয়াং বাংলা। পরবর্তীতে এই তালিকায় যুক্ত হয় এলজিইডি মন্ত্রণালয়। এ ছাড়াও মাইক্রোসফট বাংলাদেশ ও আমরা নেটওয়ার্কে ইন্টার্নের সুযোগ তৈরি করে ইয়াং বাংলা। এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৯৯৮ জনকে ইন্টার্নের সুযোগ করে দিয়েছে ইয়াং বাংলা।

জয় বাংলা কনসার্ট

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে সবচাইতে জনপ্রিয় কনসার্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ লাভ করেছে ৭ মার্চের জয় বাংলা কনসার্ট। ইয়াং বাংলার এই আয়োজন চলতি বছর সরাসরি উপভোগ করেছে ৬০ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণী। এ ছাড়াও টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইউটিউবে কনসার্ট উপভোগ করে ১০ লাখের বেশি মানুষ। ২০১৪ সালে ইয়াং বাংলা আত্মপ্রকাশের পর ২০১৫ সালে প্রথম শুরু হয় জয় বাংলা কনসার্ট। তরুণদের কাছে জনপ্রিয় ব্যান্ডদলগুলো নিয়ে হওয়া এই আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গ্রাফিকাল রিপ্রেজেন্টেশন করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা হয় আগামীর প্রজন্মকে।

-ভিলেজ

দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের মুখে হাসি ছড়িয়ে দিতে ইয়াং বাংলার আরেকটি কার্যক্রম ই-ভিলেজ। ইয়াং বাংলার এই কার্যক্রম প্রান্তিক পর্যায়ে খেটে যাওয়া বাংলাদেশের প্রত্যেক কৃষকের জন্য। এই প্রকল্পের আওতায় স্মার্ট সেন্সর ডিভাইসের মাধ্যমে চাষাবাদের জন্য মেশিন উদ্ভাবন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গবাদি পশুর চিকিৎসার জন্য অ্যাপসের ব্যবহার থেকে শুরু করে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের জন্য যাবতীয় সমস্যার সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে ই-ভিলেজ।

শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব

সারাদেশের স্কুল-কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ প্রদানে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ইয়াং বাংলার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব কার্যক্রম। সারাদেশের ৬৪ জেলায় ২ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে প্রশিক্ষণের জন্য ইয়াং বাংলার ৪ হাজারের বেশি সেচ্ছাসেবী রয়েছে। এই ল্যাবগুলো থেকে প্রশিক্ষণ লাভ করছে ৬০ হাজারের বেশি স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী। সেই সঙ্গে স্ক্রেচ এবং পাইথন প্রোগ্রামের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে ৩০০ শিক্ষক ও ৫ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচিতি

ইয়া বাংলা শুধু দেশের মধ্যেই তরুণদের সম্পর্ক তৈরি বা পরিচিতির কাজ করে না, বরং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও দেশের তরুণ উদ্যোগকে পরিচিতি প্রদান এবং অন্য দেশের সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজের সঙ্গে এই দেশের তরুণ সমাজের সেতুবন্ধন তৈরিতে কাজ করে।

আর এই লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের পৌঁছে দেয়ার বা তাদের কথা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করে ইয়াং বাংলা, যাতে বিশ্ব ব্যাপী তাদের পরিচিতি বৃদ্ধি পায়। তারাও এই সকল স্থান থেকে কিছু শেখে। আর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তাদের কার্যক্রমের কথা প্রচারের মাধ্যমে বিশ্ব ব্যাপী বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি হয়।

ইয়াং বাংলার চীনে রাজনীতিবিদ প্রতিনিধি প্রেরণ: চীন ও বাংলাদেশের তরুণ রাজনীতিবিদদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে ১৫ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল দেশটিতে যায়। ইয়াং বাংলার উদ্যোগে পরিচালিত এই কার্যক্রম দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তরুণ প্রতিনিধি দলের চীন সফর: ২০১৫ সালের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড জয়ীদের পাশাপাশি আরো কয়েকজন তরুণ নিয়ে মোট ৯ সদস্যের একটি দল চীন সফরে যায়।

তরুণ প্রতিনিধি দলের ভারত সফর: ২০১৫ সালের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড জয়ীদের ৩ জন সহ মোট ৬ সদস্যের তরুণ একটি প্রতিনিধি দল ভারতে ভ্রমণে যায়।

মাইক্রোসফট-ইয়াং বাংলা সামিট

তরুণ উদ্যোক্তাদের স্টার্ট আপকে স্বাগত জানাতে মাইক্রোসফট ইয়াং বাংলা আয়োজন করে এই বিশেষ সামিট। সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন করা প্রায় এক হাজার গ্রুপে থেকে বাছাইকৃত গ্রুপগুলোকে নিয়ে দুই পর্বে এই সামিটের আয়োজন করা হয়। দুই পর্বে শীর্ষ ১০ দল থেকে বাছাই করে বিজয়ী ৫টি দলকে ব্যবসা শুরুর মূলধনের যোগান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের সাপোর্টের ব্যবস্থা করেছে মাইক্রোসফট ও ইয়াং বাংলা। দেশের সেরা পাঁচ স্টার্ট আপ প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ইয়াং বাংলার এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারছে এই নতুন উদ্যোক্তারা।

মাইক্রোসফট কম্পিউটার ল্যাব

এ পর্যন্ত ৭ জেলার ৭ প্রতিষ্ঠানকে এমন কম্পিউটার ল্যাব প্রদান করা হয়েছে। এই সব ল্যাবের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার শিক্ষার্থী তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। ২০১৮ সালের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের পূর্বে মাইক্রোসফট ইয়াং বাংলা সম্মিলিতভাবে দেশের ৬৪টি জেলায় ৬৪টি টেক হাব গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে।

 

ইয়াং বাংলা নেটওয়ার্ক

দেশ ব্যাপী ১ লাথ ১০ হাজারের বেশি সদস্য, ২০ হাজারের বেশি কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবক, ২৫ হাজার ৯৮৮ ইন্টার্ন, ১৭৯ জনের বেশি তরুণ উদ্যোক্তা, ১২০টির বেশি তরুণদের প্রতিষ্ঠান এবং ২ লাখের বেশি ফেসবুক লাইক নিয়ে বর্তমানে তরুণদের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা।

 

ইত্তেফাক/ইউবি