শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নাগরিক মতামত

একক পরাশক্তির হস্তক্ষেপের গতি-প্রকৃতি

আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২০, ০৯:২২

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা সংগ্রাম (১৭৭৫—১৮৩০)-এর পরবর্তী শতবর্ষে মুক্তিকামী মানুষের সতত সংগ্রামের প্রতি সমর্থনের জন্য তারা কুড়িয়েছিল বিশ্ববাসীর শ্রদ্ধা। স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, উদারতা ও মানবিকতার মতো শব্দাবলি উচ্চারিত হতো তাদের সম্মানে। আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ান ও দাসব্যবস্থার প্রতি ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছিল প্রতিবাদ। মার্কিন সিভিল ওয়ার বা গৃহযুদ্ধ (১৮৬১-৬৫)-এর অন্যতম প্রতিপাদ্য ছিল দাসব্যবস্থার উচ্ছেদ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম গোলার্ধের উপনিবেশ অবসানে উচ্চকিত ছিল। ১৮২৩ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেমস মনরো ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তিকে সতর্ক করেন। এটি ‘মনরো ডকট্রিন’ নামে পরিচিত। এই ডকট্রিনের মর্মার্থ ছিল ‘আমেরিকা আমেরিকানদের’। পরবর্তীকালে প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট এই তত্ত্বের প্রায়োগিকতায় অবদান রাখেন। এই তত্ত্বের ভালো দিকটি হলো লাতিন ও মধ্য আমেরিকার উপনিবেশসমূহের স্বাধীনতালাভ।

আর মন্দ দিকটি হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যের সম্প্রসারণ। ১৭৯৩ সালে অস্কার ওয়াইল্ড যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার সপক্ষ ভূমিকার প্রশংসা করেন। পশ্চিম গোলার্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আর কোনো দেশ-জাতি-রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব অস্বীকার করা হয়। পরবর্তী সময়ে এর সঙ্গে যুক্ত হয় ‘জাতীয় নিরাপত্তার ধারণা’। ১৯৬২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন যুক্তরাষ্ট্রের নাকের ডগায় কিউবায় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে তখন নতুন করে ‘জাতীয় নিরাপত্তার নামে’ এরা নানাবিধ ষড়যন্ত্র ও কৌশল করে গোটা পশ্চিম গোলার্ধকে কঠিন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এখন পর্যন্ত সেই লৌহকাঠামো বলবত্ আছে। স্মরণ করা যেতে পারে, সাম্রাজ্যবাদবিরোধিতার চ্যাম্পিয়ন সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর একই অভিযোগ জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে মধ্য ইউরোপ পর্যন্ত তাদের সীমান্ত সম্প্রসারণ করে। মার্কিনিদের মতোই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে।

নতুন পৃথিবীর বিপুল সম্পদ ও সম্ভাবনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যতই সমৃদ্ধির দিকে এগোতে থাকে, তার হস্তক্ষেপের সীমান্ত ততই সম্প্রসারিত হতে থাকে। অর্থনীতি, রাজনীতি ও সামরিক শক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনন্য হয়ে দাঁড়ায়। পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে এই সময়ে দুটি বিপরীত মতামত লক্ষ করা যায়। এক দল মনে করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে, ‘বিচ্ছিন্নতাই তার নিয়তি’। একদিকে প্রশান্ত, অন্যদিকে অতলান্ত মহাসাগর তাদের নিরাপত্তার প্রাকৃতিক সীমারেখা। অপর আর এক দল শক্তি ও সম্পদের সদ্ব্যবহার চায়। অর্থ ও সামর্থ্যের পৃথিবী জয় করতে চায়। প্রয়োজনে হস্তক্ষেপ করবে যে কোনো প্রান্তে। গোটা ঊনবিংশ শতাব্দী ধরে বিচ্ছিন্নতা থেকে সম্পৃক্ততায় উত্তরণ ঘটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। পশ্চিম গোলার্ধের আঞ্চলিক শক্তি অতিক্রম করে অতলান্ত ও প্রশান্ত মহাসাগরের অপর প্রান্তে পৌঁছে যায় তারা। ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া পর্যন্ত বিচরণ ঘটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। মার্কিন নৌ শক্তির বিকাশ ও প্রাধান্য লক্ষ করা যায়। প্রথম মহাযুদ্ধে তাদের গায়ে একটু আঁচরও লাগেনি। কারণ দ্বিবিধ : শান্তিবাদী প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের অবস্থান। অনুসৃত বিচ্ছিন্নতাবাদ এর পররাষ্ট্রনীতি। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে পশ্চিম গোলার্ধে সম্প্রসারণের ভীতি ও স্বগোত্রীয়দের বিপর্যয় ঠেকাতে অবশেষে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৪১ সালে পার্ল হারবারে জাপানের বোমাবর্ষণ—তাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণের যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠিত করে।

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সমাপ্তির মাধ্যমে দুটি বিপরীত বৈশ্বিক শক্তি ও আদর্শের বিকাশ ঘটে। পূর্ব ইউরোপে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পশ্চিম ইউরোপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিজয়ী শক্তি হিসেবে এবং পশ্চিম ইউরোপের ক্ষয়িষ্ণু সাম্রাজ্যবাদের প্রতিভূ হয়ে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধ অবসানের পর অনুষ্ঠিত শীর্ষ বৈঠকগুলোতে দুই পরাশক্তির বিপরীত অবস্থান স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সোভিয়েত ইউনিয়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমাজতন্ত্রের প্রতি শত্রুতার অভিযোগ করে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নকে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করে। এভাবে শুরু হয় বহুল কথিত ‘স্নায়ুযুদ্ধ’। ১৯৪৭ সালের পর বার্লিন ব্লকেড (১৯৪৮-৪৯), মাও জে দুংয়ের বিজয় (১৯৪৯), কোরীয় যুদ্ধ (১৯৫০), সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক হাঙ্গেরি দখল (১৯৫৬), বার্লিন ওয়ার্ল্ড ক্রাইসিস (১৯৬১) এবং কিউবা মিসাইল ক্রাইসিস (১৯৬২)-এর মতো বড় বড় ঘটনা ঘটে। এদিকে ন্যাটো ও ওয়ারশ নামে দুটি সাংঘর্ষিক সামরিক জোট গঠিত হয় ইউরোপে। এসব সংকট ও সমস্যা নিয়ে পৃথিবী এক চরম উত্তেজনাকর অবস্থায় নিপতিত হয়। প্রতিবারই যুদ্ধের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে ওঠে। ‘যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব অথচ যুদ্ধ নয়’—এই অবস্থাকে রসিকজনেরা বলেন ঠান্ডাযুদ্ধ। ১৯৪৫ থেকে ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন পর্যন্ত এই কোল্ড ওয়ার বা ঠান্ডাযুদ্ধ অব্যাহত থাকে। এরপর সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মধ্য দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একক পরাশক্তি হয়ে দাঁড়ায়।

স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন দুটি পরাশক্তির দ্বন্দ্ব প্রকারান্তরে তৃতীয় বিশ্বের রক্ষাকবচ বা ভারসাম্যের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এখন একচ্ছত্র আধিপত্যে জাতিসমূহের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ক্রমবর্ধমানভাবে হুমকির সম্মখীন হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অপর রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে আরো বেশি করে হস্তক্ষেপ করতে থাকে। নতুন করে সেই পুরোনো কথা :‘শান্তি, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা’। এই নামে হস্তক্ষেপ ঘটছে এখন যত্রতত্র। আর পৃথিবী দেখছে আধুনিক সাম্রাজ্যবাদের প্রতিরূপ। বর্তমান শতাব্দীর শুরুতে বিগত ২০ বছরে তাদের হস্তক্ষেপের প্রবণতা নগ্নভাবে বেড়েছে। আফগানিস্তানে এখনো (২০২০) মার্কিন সামরিক অবস্থান রয়েছে। ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা বলা হলেও সেখানে সরবে-নীরবে সামরিক কার্যক্রম চলছে। উত্তপ্ত হয়ে আছে পারস্য উপসাগর। ইরানকে সমূলে বিনাশের প্রতিজ্ঞা নিয়ে ব্যাপক নৌ ও সামরিক শক্তির প্রদর্শনী চলছে ঐ এলাকায়। সৌদি আরবের দোসর হিসেবে ইয়েমেনে গণহত্যা চালাচ্ছে মার্কিনিরা। গৃহযুদ্ধের পর থেকে দৃশ্যমান প্রত্যাহার সত্ত্বেও সিরিয়া, তত্সংলগ্ন অঞ্চল ও ভূম্যধসাগরীয় এলাকায় মার্কিন উপস্থিতি রয়েছে। তাদের প্রবল অবস্থান রয়েছে দূর প্রাচ্যে। উত্তর কোরিয়াকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে পীতসাগরে মহাচীনকে। জাপানে ও দক্ষিণ কোরিয়ায় তাদের অবস্থান দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর থেকে। পৃথিবীর সব সাগর ও মহাসাগর, জলপথ ও বিভিন্ন জনপদে রয়েছে তাদের অসংখ্য সামরিক স্থাপনা।

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ ঘোষণা করেন ‘নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার’ বা নতুন বিশ্বব্যবস্থা। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মতো আপ্তবাক্যের আড়ালে গোটা বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ হাতিয়ে নিতে চায় তারা। আর একটি নতুন স্লোগান হচ্ছে ‘গ্লোবালাইজেশন’ বা বিশ্বায়ন। এর মূল বিষয় হচ্ছে বিশ্ব বাণিজ্যবাদ। পুঁজিবাদ ও মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে জাতিসমূহের সম্পদ লুণ্ঠনের সে এক পাঁয়তারা। মার্কিন করপোরেট পুঁজির স্বার্থে প্রণীত হচ্ছে নতুন নতুন নীতি ও কৌশল।

মূলত এগুলো ছিল মার্কিন নিরাপত্তার স্বার্থে গৃহীত ব্যবস্থা। এসব ঘটনা নতুন নয়। উপর্যুক্ত বিশ্লেষণে আমরা দেখেছি, স্বাধীনতার পর থেকে একটু একটু করে ক্রমশ হস্তক্ষেপের দাঁত বের করেছে তারা। এর রয়েছে সুদীর্ঘ কালো ইতিহাস। প্রায় ২৫০ বছর ধরে হস্তক্ষেপের ইতিহাস বিস্তৃত। সময়ে-অসময়ে পরিবর্তিত হয়েছে তাদের রণকৌশল। আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশেষজ্ঞগণ মোটা তিনটি দাগে এসব হস্তক্ষেপের বর্ণনা দিয়েছেন। প্রথমত, সরাসরি সামরিক অভিযান বা হস্তক্ষেপ। এর দুটি ধরন রয়েছে—প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ। দ্বিতীয়ত, রেজিম চেঞ্জ। এ এক নবতর কৌশল। যে বা যারা মার্কিন স্বার্থের বা নিরাপত্তার সহায়ক নন, তাদের গায়ের জোড়ে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে আনা। বিষয়টি যতই অনৈতিক বা আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী হোক, তারা তোয়াক্কা করে না। তৃতীয়ত, নির্বাচনী হস্তক্ষেপ। মার্কিন স্বার্থের সপক্ষের শক্তিকে নির্বাচনের মাধ্যমে জিতিয়ে আনার জন্য আর্থিক কৌশলগত ও প্রচারণার মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে স্বার্থসিদ্ধি। বছরের পর বছর ভূরিভূরি উদাহরণ রয়েছে এই তিন রকম হস্তক্ষেপের। এ নিয়ে রয়েছে প্রমাণ্য ইতিহাস। হয়েছে বিস্তর গবেষণা। তবে অস্বীকার করা যাবে না, কোনো কোনো হস্তক্ষেপ ছিল যৌক্তিক ও মানবিক। হস্তক্ষেপের মূল লক্ষ্য মার্কিন স্বার্থ সংরক্ষণ। যে মানবিকতায় বা নিরাপত্তায় মার্কিন স্বার্থ নেই, সেখানে তারা নীরব। আবার বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যদি পটকা ফোটে, আর তা যদি হয় মার্কিন সমীকরণের বিপরীতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যৌক্তিকতা খুঁজে পায় হস্তক্ষেপের।

বিশ্লেষণে আমরা দেখেছি, প্রাথমিক অবস্থায় মার্কিন যুুক্তরাষ্ট্র ছিল স্বাধীনতার রক্ষক। এখন তারা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভক্ষক। পৃথিবীর সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ তাদের বিপক্ষে। বিভিন্ন জনমতে তা স্পষ্ট। অথচ তারা বেপরোয়া। পৃথিবীর শান্তি, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতার জন্য তারা আজ বড় ধরনের হুমকি। সোভিয়েত ইউনিয়নের অস্তিত্ব থাকা পর্যন্ত তারা মোকাবিলা করেছে চ্যালেঞ্জের। এখন অবাধ গতি তাদের। তবে আশার বিষয়, পৃথিবীর সর্বশেষ প্রবণতা হচ্ছে বহুজাতিক শক্তির বিকাশ ও আবির্ভাব। আজকাল আঞ্চলিক শক্তিসমূহ যেভাবে নিজ নিজ এলাকায় তাদের প্রভাববলয় স্থাপন করেছে, তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একক কর্তৃত্ব অচিরেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে। গোটা বিশ্বের সাধারণ মানুষও ক্রমশ সচেতন হয়ে উঠছে। গ্লোবালাইজেশন বা মুক্তবাজারভিত্তিক সম্মেলন ও কার্যব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজধানীতে প্রতিবাদী মিছিল করেছে মানুষ। বাংলাদেশের একজন প্রতিবাদী বুদ্ধিজীবী আবুল কাশেম ফজলুল হকের মন্তব্য :‘যেসব শক্তির অধিকারী হয়ে যুক্তরাষ্ট্র আজ বিশ্বব্যাপী মানব জাতির সামনে দুর্দৈব রূপে দেখা দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দুষ্কর্মের গ্রাস থেকে মুক্তি পেতে হলে সেই সব শক্তিকে জানতে হবে এবং সেগুলোতে অধিকার অর্জন করতে হবে। যে শক্তির বলে যুক্তরাষ্ট্র সবাইকে পদানত করেছে, সেই শক্তির অধিকারী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অপশক্তিকে আঘাত করতে হবে। শক্তি অর্জন অপরিহার্য। দুর্বল থেকে প্রবলকে উত্খাত করতে গিয়ে দুর্বল নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে দুর্বলের পক্ষেও শক্তি অর্জন সম্ভব। প্রবলের দুর্বল হয়ে পড়ার এবং দুর্বলের প্রবল হয়ে ওঠার দৃষ্টান্ত ইতিহাসে ও বাস্তবে আছে।’

লেখক :অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ,

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন