করোনার সংক্রমণ এড়াতে বিশ্বজুড়ে মানুষ সংগ্রহে রাখছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। বাংলাদেশের চিত্রও একই। স্থানীয় বাজার থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত কিনছে স্বাস্থ্য সুরক্ষার এই পণ্য। অনেকেই আবার বাড়িতে বসেই বানানোর চেষ্টা করছেন। স্থানীয় বাজারে পাওয়া আইসো প্রোপাইল অ্যালকোহল (আইপিএ) এবং ইথানলের ১০টির ও বেশি নমুনা এবং স্থানীয়ভাবে পাওয়া হ্যান্ড স্যানিটাইজারের প্রায় ১০টি নমুনা পরীক্ষা করে, ফলাফল এরূপ পাওয়া গেছে :
১. স্থানীয় বাজারে পাওয়া (মিটফোর্ড, ঢাকা ভিত্তিক এবং অন্যান্য) আইপিএ : ৬ টির মধ্যে ৫ টি নমুনায় ৫ - ৪০ শতাংশ মিথানল (যা ত্বক এবং শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকারক) পাওয়া গেছে ।
২. স্থানীয় বাজারে পাওয়া (মিটফোর্ড, ঢাকা ভিত্তিক এবং অন্যান্য) ইথানল : ৪ টির মধ্যে ২ টিতে ৮ - ৩০ শতাংশ মিথানল পাওয়া গেছে ।
৩. স্থানীয়ভাবে তৈরি (ড্রাগ প্রশাসনের কোন অনুমতি নেই; মিটফোর্ড ভিত্তিক এবং অন্যান্য) হ্যান্ড স্যানিটাইজার: ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মিথানল রয়েছে ।
৪. এমনকি ড্রাগ প্রশাসন অনুমোদিত কিছু হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদনকারী প্রয়োজনীয় পরিমাণ আইপিএ বা ইথানল দেয়নি ।
মানুষ কোথায় যাবে !!
আপনি যদি সত্যই হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিনতে চান, দয়া করে ড্রাগ প্রশাসন অনুমোদিত নামী উৎপাদনকারী থেকে কিনুন।
দয়া করে পরীক্ষা না করে আইপিএ / ইথানল কিনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করা থেকে বিরত থাকুন।