বিশ্বের ৫ টি মহাদেশের অন্ততঃ ৪০ টিরও বেশি রাষ্ট্রে ৫ হাজারেরও বেশি আদিবাসী জাতিগোষ্ঠির বসবাস। ৫ হাজারেরও বেশি জাতিগোষ্ঠি হলেও লোকসংখ্যার হিসেবে কিন্তু এরা খুবই ক্ষুদ্র। মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ কোটি। যেখানে সারাবিশ্বের লোকসংখ্যা ৭শ ৮১ কোটিরও উপরে। সেখানে এ সংখ্যা কেবল ক্ষুদ্রই না; বরং অতি ক্ষুদ্র। অপরদিকে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার মাত্র ১.১১ শতাংশ আদিবাসী জাতিগোষ্ঠির অন্তর্গত। যা সংখ্যা হিসেবে একেবারেই কম। আর সংখ্যায় নগন্য বলে বাংলাদেশসহ আরো কয়েকটি রাষ্ট্র তাদেরকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি বা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠি বলে সম্বোধন বা সংজ্ঞায়ন করে। যা কেবল জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আইএলও এর সনদই নয়; বরং প্রথা, কনভেনশন বা সভ্যতার মাপকাঠি অনুযায়ী অনুচিত। আমরা আমাদের দেশের চাকমা, মনিপুরি বা খাসিয়াদের জনসংখ্যা সংখ্যার দিক থেকে কম বলে আমরা তাদেরকে ক্ষুদ্র বলে সম্বোধন করি। কেবল সম্বোধনই করছি না; আমরা আমাদের সংবিধানে ধারা সংযোজন করে তাদেরকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি হিসেবে সম্বোধন করেছি, সংজ্ঞায়ন করেছি। কোথাও কোথাও উপজাতি হিসেবেও উল্লেখ করা হচ্ছে। যদিও আদিবাসী জাতিগোষ্ঠির বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিসহ অনেক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এর সাথে একমত নয়।
সংখ্যায় কম বলে আমরা এদেরকে বলছি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি। তাহলে বাঙালি সংখ্যায় বেশি বলে কি আমরা বলবো বাংলাদেশে বাঙালি হচ্ছে একটি বৃহৎ নৃ-গোষ্ঠি? এ বাক্যটি শুনতেও আমাদের কাছে বেমানান লাগে বা মোটের উপর আত্মসম্মানে লাগছে। তদ্রুপ আমরা যখন মারমাদের বলি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি তখন তাদেরও অস্থিত্বে লাগে, আত্মসম্মানে লাগে। আমরা যেকোনো জাতি বা ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠিকে সংখ্যার দিক থেকে ক্ষুদ্র, সংখ্যালঘু বলতে পারি না। এসব বিশেষায়ন মূলতঃ এসকল জাতিগোষ্ঠিকে আরো প্রান্তিক অবস্থায় নিয়ে যায়। তাদের অধিকারকে আরো খর্ব করা হয়। তারা যতটা না সংখ্যায় কম; আমরা ক্ষুদ্র হিসেবে সংজ্ঞায়ন করে তাদের আত্মবিশ্বাসে আঘাত করি, ঐতিহ্যে আঘাত করি, সর্বোপরি তাদের সংস্কৃতিকে আঘাত করি। বৃহৎ আর ক্ষুদ্রের দ্বন্দ্বে সবসময় সবলরাই জয়ী হয়। আর এসব জনগোষ্ঠিকে ক্ষুদ্র সম্ভোধন করে, তাদের সংস্কৃতিকে আঘাত করে, তাদেরকে মূলধারায় নিয়ে জাতীয় সংহতি মজবুত করার প্রচেষ্ঠা একটি ভ্রান্ত ধারণা। ১৯৫২ সালে তৎকালীন পাকিস্তানে এটি প্রমানিত হয়েছে। এসব ছলছাতুরির মাধ্যমে এসব জাতিগোষ্ঠির অধিকার, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ক্ষুন্নই হয় না; বরং মোঠের উপর রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ও জাতীয় সংহতির মধ্যে পারষ্পরিক আস্থার সংকট ও অবিশ্বাস তৈরী হয়। মূলতঃ আদিবাসীদের অধিকার, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সুরক্ষার জন্যই ১৯৯৪ সাল থেকে জাতিসংঘ তার সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে প্রতিবছর ৯ আগস্ট ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড’স ইন্ডিজিনিয়াস পিপলস বা আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস হিসেবে পালনের তাগিদ দেয়।
তবে এটি ঠিক যে, আদিবাসী শব্দের সুর্নিদিষ্ট সংজ্ঞা ও তাদের অধিকার নিয়ে কেবল আমাদের দেশে নয়; বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিতর্ক রয়েছে। জাতিসংঘ দীর্ঘ সময় ব্যয় করেও বিশ্ব নেতারা আদিবাসীর সংজ্ঞা নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেননি; পারেননি একাডেমিক ও বুদ্ধিজীবীগণও। আইএলও এসব জাতিগোষ্ঠির আত্মপরিচয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে অধিকার সংরক্ষণের জন্য ইন্ডিজেনিয়াস এন্ড ট্রাইবাল পিপলস কনভেনশন-১৯৫৭(১০৭) ও পরবর্তিতে পুণঃসংস্করণ করে ইন্ডিজেনিয়াস এন্ড ট্রাইবাল পিপলস কনভেনশন-১৯৮৯(১৬৯) দুটি ধারা গ্রহন করে।
এ দুটি ধারা হলো এক অর্থে মন্দের ভালো। কিন্তু বাংলাদেশের মতো অনেক রাষ্ট্র তাদের দেশের এ সকল জাতিগোষ্ঠির আত্মপরিচয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে অধিকার সংরক্ষণে এ দুটি ধারাও মানছেন না। ফলে এসব জনগোষ্ঠি আজ অস্থিত্বের সংকটে। তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ভূমির মালিকানা সংকট। আর এ সংকটটিকে জিইয়ে রাখা হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে।
১৯৭৫ সালের এই আগস্ট মাসের ১৫ তারিখ বাঙালি জাতির জনককে সপরিবারের হত্যার পর দেশের বাইরে থাকায় প্রানে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগের বিনিময়ে ২১ বছর পর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে ১৯৯৬ সালে। এসময় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করা হয়। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষর করা চুক্তিটি আওয়ামীলীগ আরো প্রায় ৪ বছর ক্ষমতায় থাকলেও কিছু সংখ্যক ব্যক্তির পদপদবী বা মন্ত্রনালয় ও বিভিন্ন বিভাগ সৃষ্টি হওয়া ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হয়নি। চুক্তিটি বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। যদিও এ চুক্তি নিয়ে আদিবাসীগোষ্ঠিগুলোসহ তৎকালীন বিরোধীদল বিএনপিসহ বিভিন্নমহলে আপত্তি ও সন্দেহ ছিল। তথাপিও এর বাস্তবায়ন হলে ভূমি সংকটসহ কিছু সমস্যার সমাধান হতো। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় এসে এ চুক্তি ফেলে রাখে। এর পর নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে ২০০৮ সাল থেকে আবার আওয়ামীলীগ ক্ষমতায়। এ দীর্ঘ সময়ে আওয়ামীলীগ তাদেরই করা পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নও করেনি; বাতিলও করেনি। এ দোলাচলের মাঝখানে আদিবাসী শব্দ বাদ দিয়ে তাদেরকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সংজ্ঞায়ন করা হলো। যদিও ২০০৮ সালের নির্বাচনে দিন বদলের সনদ খ্যাত আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতেহারের চারটি স্থানে আদিবাসী শব্দটি রয়েছে। আর এমন একটি সংকটাপূর্ণ অবস্থায় আদিবাসীদের অধিকার, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের গুরুত্ব অনস্বিকার্য।
করোনা সংকটে সারাবিশ্বের ন্যায় আমাদের দেশের অবস্থাও বিপর্যস্ত। এ প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ এবারের আদিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য ঠিক করেছে “কোভিড-নাইনটিন এন্ড ইন্ডিজেনিয়াস পিপলস রেজিলিয়েন্স।“ আর জাতিসংঘের প্রতিপাদ্য বিষয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম “কোভিড-১৯ মহামারীতে আদিবাসীদের জীবনজীবিকার সংগ্রাম” কে এ বছরের প্রতিপাদ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব হলেও বিশ্বে বিশেষতঃ ইউরোপ ও আমেরিকায় এর মহামারি দেখা দেয় আরো দু’ মাস পর। তখনই ঘোষনা করা হয়েছিল, পৃথিবীর কোনো জাতিগোষ্ঠিই যার বাস বিশ্বের যে প্রান্তেই হোক না কেন কোভিড-১৯ এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব থেকে বাঁচতে পারবে না। প্রকৃতপক্ষে সকলের সাথে আদিবাসী জাতিগোষ্ঠিসমূহও কোভিড-১৯ সংকটে জীবনজীবিকার সংগ্রামের সম্মুখীন। আদিবাসী জনগন জীবনজীবিকা নিয়ে এমনিতেই সংকটে। পরিবেশ বিপর্যয়, জলবায়ু পরিবর্তন, আদিবাসী ভূমিতে খনিজের জন্য খনন কার্যক্রম, সামরিক অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা, উন্নয়ন সম্প্রসারনে তাদের ভূমি অধিগ্রহন, তাদের ভূমিতে মূলধারার লোকজনকে পূণর্বাসন, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনসহ নানাবিধ কারণে সারাবিশ্বে আদিবাসীরা এমনিতেই সংকটে। এরই মাঝে কোভিড-১৯ এ সংকটকে আরো ঘনিভূত করেছে। এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা।
বাংলাদেশে আদিবাসী জাতিগোষ্ঠিসমূহের মধ্যে কেউ এগ্রোফরেস্ট্রি বা পাহাড়ে কৃষির উপর নির্ভরশীল। কেউ জীবিকা নির্বাহ করে হস্তশিল্পসামগ্রী বিক্রি করে। ইকোট্যুরিজমের পর্যটকদের সেবা দিয়ে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করেন। কোভিড-১৯ সংকটজনিত লকডাউনে সবার জীবনজীবিকা বিপর্যস্ত। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সিলেটের খাসিয়ারা পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। খাসিয়াপুঞ্জির আশেপাশের গ্রামগুলোর বাঙালি ও চাবাগানের বেকার শ্রমিকরা পানজুমে কাজ করে। লকডাউনে তারা খাসিয়াপুঞ্জিতে প্রবেশ করতে না পারায় পানের উৎপাদন কমেছে। আবার বাঙালি কারবারিরা পুঞ্জিতে প্রবেশে কিছু কঠোরতা থাকায় উৎপাদিত পানের মূল্য তারা পাচ্ছেন না। এতে প্রান্তিক খাসিয়ারা আরো প্রান্তিকতার শিকার হচ্ছেন। আবার মণিপুরিসহ আরো কিছু জাতিগোষ্ঠির অনেকে হস্তশিল্পসামগ্রী বিক্রি করতে পারছে না। লকডাউনে একদিকে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় পণ্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছানো যাচ্ছে না। আবার দেশের অর্থনীতি খারাপ হওয়ায় এসব হস্তশিল্পের চাহিদাও কমেছে। বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার এলাকায় পর্যটক আগমন শূন্যের কৌটায় নেমে আসায় এসব এলাকার বাঙালিদের চেয়ে বেশি সংকটে পড়েছেন আদিবাসীরা। এছাড়া গারো, মনিপুরি, চাকমাসহ অনেক আদিবাসী মেয়েরা শহর এলাকায় বিউটি পার্লারের ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। কেউ কেউ নিজেই পার্লার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, কেউ কেউ অন্যের পার্লারে বেতন বা মজুরীর বিনিময়ে কাজ করতেন। লকডাউনে পার্লার শিল্প পুরোপুরি বন্ধ। আবার অনেক শিক্ষিত আদিবাসী ছেলে মেয়েরা এনজিওতে চাকুরী করছেন। তারাও নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। অনেকের চাকুরীও চলে গেছে। সরকারি অনুদান ও প্রনোদনা এসব জাতিগোষ্ঠির কাছে পৌঁছানো আরেক চ্যালেঞ্জ।
অর্থনৈতিক সংকটের পাশাপাশি আদিবাসী কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যত শিক্ষাজীবন নিয়ে হতাশ। করোনা সংকটে সকলের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাই ব্যাহত হচ্ছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আদিবাসী ছেলে-মেয়েরা পড়েছেন উভয় সংকটে। তাদের সংকট অন্যদের চেয়ে ভিন্ন। আদিবাসীদের মাতৃ বা মূলভাষা যেহেতু বাংলা নয়; তাই তাদের শিক্ষা চালিয়ে যেতে প্রথমেই বাংলাভাষা রপ্ত করাটাই একটা চ্যালেঞ্জ। লকডাউনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আদিবাসী শিশুরা বাংলাভাষা শিক্ষা থেকে ছিটকে পড়ছে। যা ভবিষ্যতে শিক্ষা চালিয়ে নিতে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করবে। বাংলা শিক্ষার একটি সহায়ক বয়স আছে। তুলনামূলকভাবে কম বয়স ভাষা শিক্ষার জন্য অনুকূল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে কেউ বলতে পারছেন না। এতে আদিবাসী শিশুদের বাংলাভাষা শিক্ষায় মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। যা তাদের সার্বিক শিক্ষাজীবনকে সংকটে ফেলে দিলো।
এছাড়া কোভিড-১৯ সংকটের পাশাপাশি তাদের উপর গতানুগতিক আধিপত্য ও নিপিড়ন কিন্তু থেমে নেই। বরং ক্ষেত্রভেদে তা আরো বেড়েছে। আদিবাসীদের ভূমি দখল, উচ্ছেদ, নিপিড়ন চলছে আগের মতোই। গত সপ্তাহেও রাতের আধারে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সিঙ্গুল পুঞ্জির অন্ততঃ ৫শ পান গাছ পার্শ্ববর্তী বাঙালি যুবকরা কেটে ফেলেছে। এ প্রেক্ষিতে এবারের আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের অঙ্গীকার হোক বাংলাদেশের আদিবাসীদের কোভিড-১৯ সংকট মোকাবেলায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়া। মনে রাখতে হবে পৃথিবীর মাত্র ৩০-৩৫ কোটি জনগন কিন্তু মোট জৈববৈচিত্রের ৮০ ভাগের রক্ষক। সুতরাং তাদের বেঁচে থাকার মধ্যেই কিন্তু আমাদের সকলের ঠিকে থাকা নির্ভর করে। আজকের বিশ্বব্যবস্থা প্রমাণ করেছে বৈচিত্রের মধ্যেই ঐক্য। যে রাষ্ট্রের জনগনের মধ্যে বৈচিত্র বেশি সে রাষ্ট্র তত বেশি শক্তিশালি।
লেখকঃ ড. জহিরুল হক শাকিল, অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট। তিনি আদিবাসী ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের উপর লন্ডন স্কুল অব ওরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিজ থেকে কমনওয়েলথ স্কলারশীপ নিয়ে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিষয়ে পিএইচডি করেছেন। ইমেইলঃ [email protected]