ফিরে যাই একাত্তরের মার্চ মাসে
- ইতিহাস এক মুহূর্তে বদলে গেলেও, সেই মুহূর্ত তৈরি করতে লেগেছিল অগণিত ঘটনাবলি। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এমনই এক ঘটনা যা অসংখ্য দুর্লভ মুহূর্তের সমষ্টি।
- মার্চ ১: ভুট্টোর প্রতি বঙ্গবন্ধুর হুশিয়ারি, ‘আমরাও যদি ঐ ভাষায় কথা বলি, তখন? আসুন পরিষদের সমাধান খোঁজা যাইবে।’
- মার্চ ২: ‘(পার্লামেন্টে) সংখ্যালঘিষ্ঠ দলের সেন্টিমেন্টের জন্য অধিবেশন স্থগিত রাখা হইয়াছে এবং আমরা উহাকে নীরবে সহ্য করিতে পারি না।’- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
- মার্চ ৩: দৃঢ়ভাবে জাতির পিতার কণ্ঠে, ‘আমি শেখ মুজিব বলছি। শান্তি-শৃংখলার মধ্য দিয়ে আন্দোলন চালাইয়া যান। বাংলার কণ্ঠ স্তব্ধ করা যাইবে না।’
- মার্চ ৪: কর-খাজনা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু, ‘বাংলার মানুষ খাজনা দেয়, ট্যাক্স দেয় রাষ্ট্র চালানোর জন্য- গুলি খাওয়ার জন্য নয়।’
- মার্চ ৫: ‘জয় বাংলার’ জয়- স্লোগানে মুখরিত রাজপথে আন্দোলনকারী সংগ্রামী জনতাকে অভিনন্দন জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
- মার্চ ৬: চট্টগ্রামে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৮। গণহত্যা বন্ধের জন্য পাকিস্তানি জান্তাকে আওয়ামী লীগের হুশিয়ারি, ‘বাংলার বুকে এ গণহত্যা বন্ধ কর!’
- মার্চ ৭: প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান ও টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর নিয়োগ করায় ক্ষোভ প্রকাশ ও আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠক।
- মার্চ ৮: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। বাংলাদেশ সৃষ্টির বীজ বপন করা সেই ভাষণে বজ্রকন্ঠে ঘোষণা- ‘আজ থেকে আমার নির্দেশ।’