শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সংগ্রাম পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত : ওবায়দুল কাদের

আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:৫৪

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল কাদের মোল্লাকে শহীদ বলায় ‘দৈনিক সংগ্রাম’ পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

শনিবার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। বাসস

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এখনও যেসব অপশক্তি সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে তাদের মূলোৎপাটন করা হবে।’

পরে ওবায়দুল কাদের দলের পক্ষ থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধি সৌধে যান এবং দলের নেতাদের সাথে নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

আরো পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

এ সময়ে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার হোতা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চৌধুরী মঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানকে দেশে ফিরিয়ে আনার কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি এর কারণ আছে। সেটি হচ্ছে যেদেশে তারা পালিয়ে আছেন সে দেশের আইনগত বাধা আছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তকে আনা আইনে অ্যালাউ করে না। তারপরও যুক্তরাষ্ট্রে যারা পালিয়ে আছেন, তাদের ফিরিয়ে আনতে একটু অগ্রগতি আছে।

তিনি বলেন, আমরা বোধ হয় তাদের তাড়াতাড়িই দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবো। চৌধুরী মঈনুদ্দিন, আশরাফ এরা বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিচারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। এদেরকে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে৷

বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, তালিকা একটা আছে, এটা যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এখানে কোনো ধরনের ভুল-ত্রুটি আছে কিনা। তাতে সংযোজন, সংশোধন ও বিয়োজন হতে পারে।

তিনি বলেন, আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে বুদ্ধিজীবীদের যারা হত্যা করেছে, একাত্তরের প্রেতাত্মা, সাম্প্রদায়িক নব-অপশক্তি আজও এরা বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে। এসব বিষবৃক্ষের মূলোৎপাটন করবো, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেরকে প্রতিহত করবো, পরাজিত করবো। আজকের এই দিনে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

ইত্তেফাক/এমআরএম