শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সিটি নির্বাচনে সব দল সমান সুযোগ পাবে : ওবায়দুল কাদের

আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯, ২৩:১২

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে উপহার দিতে চায়।

 

মঙ্গলবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে উপহার দিতে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। ফলাফল যাই হোক সেটা মেনে নিতে প্রস্তুত আছে আওয়ামী লীগ।’

 

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নতুন বছরের প্রথম চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন বছরে গণতন্ত্রের জন্য দুই সিটি নির্বাচন হচ্ছে প্রথম চ্যালেঞ্জ। অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। সব দল সমান সুযোগ পাবে। আমরা একটি ভালো নির্বাচন করতে চাই। ফলাফল যাই হোক আমরা মেনে নেবো। তবে বিএনপি প্রার্থীরা এ পদ্ধতি নিয়ে যা বলছে তাতে তারা নির্বাচনের আগেই হেরে যাচ্ছে বলে মনে হয়।

 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য৷ এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস তিনি দিয়েছেন।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনী লড়াইয়ে বিজয়ী হতে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি। আমাদের কাজ যথারীতি শুরু হবে। বিএনপির কে যে কোন কথা বলে বুঝি না। তাদের এক একজন একেক রকমের কথা বলেন। তাদের নেতাদের মধ্যে বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তারা এলোমেলো হয়ে গেছেন। তাদের দলের দু’জন সিনিয়র লিডার দল থেকেই চলে গেছেন নেতিবাচক রাজনীতির জন্য। আমার মনে হয় তারা নির্বাচনে আসবেন ও শেষ পর্যন্ত তারা থাকবেন।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির একটি পুরনো অভ্যাস হলো নির্বাচনের আগেই তারা হেরে যায়। তারা নানান অভিযোগ তোলে, আগেই তারা হেরে যাওয়ার অজুহাত খোঁজে এবং জনগণের সামনে তা উত্থাপন করে। নির্বাচনের ফলাফলের পর তোতা পাখির মতো তারা বুলি আওড়াতে থাকে নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে।’

 

সেতুমন্ত্রী বলেন, নতুন বছরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করা হবে, এক্ষেত্রে বিরোধীদল একটি বড় পার্ট। সেক্ষেত্রে তাদের জন্য কোনো মেসেজ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিরোধীদল সব সুযোগ-সুবিধা পাবে। তারা গণতন্ত্র চর্চা করতে পারবে। সভা-সমাবেশ করতে পারবে। স্পিকার তাদের ব্যাপারে যথেষ্ট উদার। সরকারও নমনীয়। বিরোধীদল শক্তিশালী হলে সরকার ও গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। কাজেই বিরোধীদলের জন্য সভা-সমাবেশে আমরা এখনো কোনো কার্পণ্য করছি না, নতুন বছরেও তারা সে সুবিধা পাবে।

 

ঢাকার দুই সিটির ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে দল সমর্থিত একক প্রার্থী ক্লিন ইমেজ দিতে কতটা করতে পেরেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কিছু কিছু ভুল-ত্রুটি ছিল। সেগুলো নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে সেগুলো আমরা সংশোধন করবো। বিগত এক বছরের সরকার ও দলের কাজ মূল্যায়ন করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিদায়ী বছরটা অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে গেছে। নমিনেশন পর্ব মাত্র শেষ হয়েছে, যাচাইও শেষ হয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে আমার অসুস্থতাজনিত অনুপস্থিতি বাদ দিলে পার্টির ও সরকারের পারফরমেন্স ভাল। এই বছরে দলে টিম ওয়ার্ক ভালো হয়েছে।

 

তিনি বলেন, নতুন বছরে আমরা এ বছরের ভুল ব্যর্থতা, অতীতের ভুল ত্রুটি থেকে আমরা শিক্ষা নেব। ভবিষ্যতের জন্য নবতর পথে যাত্রা শুরু করব। নতুন আশার মালা গেঁথে আমাদের সামনের যে চ্যালেঞ্জ, সেই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করব। আমাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করব। গণতন্ত্রের আরও উন্নতি করব। সুশাসনে আরও একধাপ অগ্রগতি হবে। আমাদের মেগা প্রকল্পগুলো কাজ আরও এগিয়ে যাবে।

 

ইত্তেফাক/ইউবি