শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভোট চাওয়া ছাড়া এমপিরা সব করতে পারবে: তোফায়েল

আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২০, ১৪:২৭

আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা ভোট চাওয়া ছাড়া সব করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উত্তর সিটি নির্বাচনের প্রধান সম্বয়ক তোফায়েল আহমেদ। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সম্মেলন কক্ষে ইসির সঙ্গে বৈঠকে বসে আওয়ামী লীগের উত্তর সিটি নির্বাচনের প্রধান সম্বয়ক তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হবে এ ব্যাপারে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। যেহেতু আমরা ক্ষমতাসীন দল আমরা এমন কোন কাজ করব না যাতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আচরণবিধির ২২ নম্বরে বলা আছে, সরকারি সুবিধাভোগী অতিব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নির্বাচনী প্রচারণা ও সরকারি সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত বাধা-নিষেধ। এখানে এমপিদের ব্যাপারে যেটি বলা আছে অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অর্থ প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের কথা।

"এই বিষয়টি আমরা তুলে ধরেছি এবং তারা আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন তা হলো সুবিধাভোগী এবং অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির যে বিষয়টি সেখানে জাতীয় সংসদ সদস্যরা কিন্তু সুবিধাভোগী না। এবং অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির যে বিষয়টি আমাদের শেখ সেলিম, হানিফ তারা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আবার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাসস, গয়েশ্বর তারা সবাই কিন্তু মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, তারাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তারা (ইসি) স্বীকার করেছে আসলে সংঙ্গার মধ্যে স্ববিরোধীতা রয়েছে, কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। এখন যদি কিছু করি সরকারের জন্য মানুষের চোখে ভালো হবে না, আমাদের (ইসি) চোখেও এটি ভালো হবে না।"

তোফায়েল আহমেদ বলেন, "সুবিধাভোগী হলো অফিস অফ প্রফিটট যেটা আমরা এমপিরা পাইনা, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, হুইপ, স্পিকাররা পায়। আমরা বলেছি আমরা তাদের বলব না এটা পরিবর্তন করতে। কিন্তু মহবুব তালুকদার সাহেব সেদিন যে কথা বলেছিলেন আজকেও বলেছেন, আমি আমার অফিস বা ঘরে বসেও নির্বাচন নিয়ে কোন কথা বলতে পারব না। উনি ছাড়া সবাই একমত হয়েছে এটা বাস্তবসম্মত নয়। আমরা ঘরোয়াভাবে অফিসে বসে বা মহল্লায় গিয়ে কোন বাসায় বসে মিটিং করতে পারব, এগুলোতে কোন বাধা নেই। তাদের অনুরোধ আমরা যারা এমপি তারা যেন ভোট না চাই। কিন্তু আমার সঙ্গের যিনি তিনি এমপি না হলে ভোটট চাইতে পারবেন। এগুলো তারা ক্লিয়ার করেছেন।"

তিনি বলেন, কারো নামে ওয়ারেন্ট থাকলে আইপ্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা নেবে, এতে তাদের কিছু করার নেই। স্যোসাল মিডিয়ায় যে বিভিন্নরকম অপপ্রচার করে এটা তারা বন্ধ করার উদ্যোগ নেবে। ইভিএম সম্পর্কে আমরা বলেছি এটি সম্পূর্ণ আপনাদের (ইসি) এখতিয়ার। এটা করলেও আমাদের আপত্তি নাই, না করলেও আপত্তি নাই। এমপিরা ভোট চাইতে পারব না, কিন্তু মাহবুব তালুকদার যেটি বলেছেন ঘরে বসেও কোন কিছুই করতে পারব না, সেটি ঠিক নয়।

আমরা এমপিরা পথসভায় আমরা যাবো না, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্যাম্পেইন করব না। কিন্তু আমাদের যে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমরা তো ঘরোয়াভাবে মিটিং করতে পারব। নির্বাচন সংক্রান্ত কোন ক্যাম্পেইনে যেতে পারব না সেটা আমরা মেনে নিয়েছি। তারা অনুরোধ করেছে এমপিদের ভোট না চাইতে। ভোট চাওয়া ছাড়া আমরা সব করব।

মাহবুব তালুকদার ছাড়া সব কমিশনাররা একমত পোষণ করেছেন বলেও জানান তিনি।

সিইসির নেতৃত্বে ইসির পক্ষে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: আবুল কাসেম উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, উত্তর সিটির মিডিয়া সেলের সদস্য জয়দেব নন্দী।

ইত্তেফাক/আরকেজি