শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘গণতন্ত্র সূচকে ৮ ধাপ অগ্রগতিতে প্রমাণ হয় সমালোচনা অন্তঃসারশূন্য’

আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:৫৮

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্ব গণতান্ত্রিক সূচকে বাংলাদেশের আট ধাপ অগ্রগতি  দেশে গণতন্ত্রচর্চা নিয়ে সমালোচনাকে অন্তঃসারশূন্য প্রমাণ করেছে। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি আরো বলেন, দ্য ইকনোমিস্ট পত্রিকার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) এর সদ্যপ্রকাশিত বিশ্ব গণতান্ত্রিক সূচক-২০১৯ এ বাংলাদেশের ৮ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ওপরে। দেশে বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে এক্ষেত্রে আরো অগ্রগতি হতো বলে জানান তিনি। 

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশিত দুর্নীতি সূচকেও দেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গেও কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এ সূচকে দেশের তিন ধাপ অগ্রগতি এটাই প্রমাণ করে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে সুশাসন বিরাজ করছে এবং সুশাসনের পথে এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। 

আরো পড়ুন : আগামী বছর থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা

নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক আদালতে মায়ানমারের গণহত্যা মামলায় দেয়া রায়ের চারটি বিশেষ অংশের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রথমতঃ মায়ানমার আর কোনোভাবেই 'জেনোসাইড কনভেনশন' ভঙ্গ করবে না, নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দ্বিতীয়তঃ মিয়ানমারের সেনা বা অন্য কোনো বাহিনী কোনোভাবেই আর গণহত্যা বা এধরনের কাজে লিপ্ত হবে না বা প্ররোচনা দেবে না। তৃতীয়তঃ পূর্বে সংঘটিত সকল গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে এবং আগামী চারমাস পর আদালতের আদেশ পালনের 'কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট' দাখিল করতে হবে, যা পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রতি ছয় মাস অন্তর প্রতিবেদন দাখিল অব্যাহত রাখতে হবে। 

আন্তর্জাতিক আদালতের এ রায়কে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার প্রতিষ্ঠার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'সেইসাথে আমি এটাও আশা করি, মায়ানমার তাদের দেশ থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখ  রোহিঙ্গাকে অতিদ্রুত ফিরিয়ে নেবে এবং পূর্ণ নাগরিকত্ব দেবে ।

ইত্তেফাক/ইউবি