মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দিল্লীর পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন বিএনপি

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:১৮

বিএনপির এক বিবৃতিতে ভারতের দিল্লিতে চলমান সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়,বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে অবহিত হয়ে বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী দেশ ভারতের রাজধানী দিল্লির পরিস্থিতিতে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি বিবৃতি প্রদান করছে।

আরও পড়ুন : স্মার্টফোন নয়, সন্তানের হাতে বই তুলে দিন : ড. হাছান

বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ মোতাবেক জানা গেছে সম্প্রতি ভারত সরকার কর্তৃক পাশকৃত বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-এর পক্ষ ও বিপক্ষ গোষ্ঠীর মধ্যে যে বিরোধ তৈরী হয়েছিল তা ইতোমধ্যেই সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় রূপ নিয়েছে, সহিংসতায় নিহত ও আহতের সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বাড়ছে। বিএনপি গভীর দুঃখ ও উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, নিহত ও আহতদের মধ্যে মুসলমান ও হিন্দু উভয় ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ভারতীয়রাই আছেন।

বিবৃতিতে বিএনপি স্মরণ করে দিয়েছে, বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) পাশের ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া, এই উপমহাদেশ তথা এ অঞ্চলের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য হুমকি হয়ে উঠবে। এই মর্মে ইতিপূর্বেই সেই উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করা হয়েছিল। যে বিবৃতিতে হুঁশিয়ার করে বলা হয়েছিল, বহুত্ববাদ এর আদর্শ থেকে যেকোন বিচ্যুতি সকল ধর্মের মানুষের সমান নিরাপত্তা নিশ্চিতের পথে একটি অনিবার্য বাধা। চলমান দিল্লি’র সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তা আবার সুষ্পষ্ট উদাহরণ হিসেবে প্রমান করলো।

এ অঞ্চলের শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ বরাবরই উদ্যমী। ভারতের প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের প্রতিনিধিত্বশীল দল হিসেবে বিএনপি তাই সবসময়ই ভারত রাষ্ট্র ও জনগণের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও স্বাভাবিক পরিবেশ কামনা করে। বিএনপি বিশ্বাস করে, ভারতের বর্তমান নির্বাচিত সরকার তার দেশের সংবিধানের অন্তর্নিহিত চেতনানুযায়ী ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমেই চলমান সংকটের সমাধান করবেন। এ অঞ্চলের বৃহৎ দেশ হিসেবে এ অঞ্চলের শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ভারত সরকার যথাযথ ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে বিএনপি প্রত্যাশা করে।

ইত্তেফাক/এমআরএম