বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের নামে জনগণের রক্ত টেনে নিচ্ছে সরকার : রিজভী 

আপডেট : ২৭ জুন ২০২০, ১৯:০৪

বিদ্যুতের ‘ভুতুড়ে’ বিলের মাধ্যমে সরকার সিরিঞ্জ দিয়ে জনগণের রক্ত টেনে নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রিজভী বলেন, বাড়িতে বাড়িতে বহু লোক আমাদেরকে বলছেন- যেখানে বিদ্যুৎ বিল হওয়ার কথা ১০০০- ১২০০ টাকা, সেখানে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা বিল আসছে। এই ভুতুড়ে বিলের জন্য গণমাধ্যমে অনেক প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে, সরকারের এদিকে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই, সরকার এদিকে তাকাচ্ছে না। তারা নির্লজ্জভাবে গায়ের জোরে আবার বছরে কয়েকবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করছে।

শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন (সংশোধন) বিল সংসদে উত্থাপনের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ কথা বলেন রিজভী।

‘ফিউচার অব বাংলাদেশ’ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। রিজভী বলেন, এখন সিরিঞ্জে যেমন করে রক্ত টান দেয়- এই সরকার জনগণের শরীরে সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত টান দিচ্ছে এই বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকারের টাকা দরকার। এই টাকা কোথায় যাচ্ছে, জানেন? এটাও গতকাল বিভিন্ন পত্রিকায় বেরিয়েছে- ৫ হাজার কয়েক‘শ কোটি টাকা সুইস ব্যাংকের জমা আছে। এই টাকা কার? এই টাকা মন্ত্রীদের, এই টাকা আমলাদের, এই টাকা ক্ষমতাসীন দলের লোকদের। আজকে ১১ থেকে ১২ বছর জনগণের এই টাকা আত্মসাৎ করে সুইস ব্যাংকে রেখে ফুলে-ফেঁপে একেবারে বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে তারা। এখন আরও টাকা দরকার, সুইস ব্যাংকে আরও কালো টাকা পাঠাতে হবে, এই লক্ষ্য নিয়ে বছরে কয়েকবার বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেলের দাম তারা বৃদ্ধি করছে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মানুষ মরছে, অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই, অক্সিমিটার নেই, চিকিৎসা নেই ঢাকার কয়েকটি হাসপাতাল ছাড়া। কত কথা হয়ত গণমাধ্যমে আসছে, কিন্তু সব আসছে না।

রিজভী বলেন, হাসপাতালে গিয়ে করোনা রোগী কোনও চিকিৎসা পাচ্ছে না। কারণ জনগণকে সুবিধা দেওয়া, জনগণের কষ্ট লাঘব করার কোনও কাজ তারা করেনি। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত ভেঙে গেছে, একেবারে ভঙ্গুর। 

মানববন্ধনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি নবী উল্লাহ নবী, ‘ফিউচার অব বাংলাদেশ’ এর শওকত আজিজ, সাজ্জাদুল হানিফ বক্তব্য রাখেন।


ইত্তেফাক/ইউবি