বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা অস্বীকার করে, তারা বাংলাদেশের অস্তিত্ব, মুক্তিযুদ্ধ ও মানচিত্রকে অস্বীকার করে। বঙ্গবন্ধুকে যারা অস্বীকার করে, তারা বাংলাদেশকেই অস্বীকার করে। বঙ্গবন্ধুকে যারা শ্রদ্ধা করে না, তারা দেশের মানুষকেও শ্রদ্ধা করে না। তারা মুক্তি সংগ্রামকেও শ্রদ্ধা করে না।
বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার বিকল্পধারা আয়োজিত আলোচনা সভায় অডিও বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বি. চৌধুরী বলেন, ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নিষ্ঠুরতম অধ্যায় রচিত হয়েছিল। আমাদের জন্য এটি একটি লজ্জাজনক দিন। এদিন স্বাধীনতার অগ্রদূত, বাংলাদেশের রাজনৈতিক চিন্তার এবং মুক্তিযুদ্ধের অগ্রদূত বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার দাবি থেকে পিছু হটেননি। সারা পৃথিবীতে এমন দৃষ্টান্ত বিরল। দেশের মানুষের জন্য তার ভালোবাসা ছিল সীমাহীন। দেশের মানুষকে এবং দেশকে সমার্থকভাবে তিনি ভালোবেসেছেন। তার সবচেয়ে বড় সাহস দেশপ্রেমের মধ্যে, মানুষকে ভালোবাসার মধ্যে। তার সবচেয়ে দুর্বলতা সেটাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে এক পাও পিছু না হটার আহ্বান জানিয়ে বি. চৌধুরী বলেন, আপনার মধ্যে অনেকগুণ আছে, যেটা বঙ্গবন্ধুর সাথে মিলে যায়। শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নই শেষ কথা নয়, দেশের দরিদ্র মানুষ যেন সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে আপনাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
আলোচনা সভায় বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান ভিডিও বক্তৃতায় বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। এই সময়ের মধ্যেই তিনি ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পাকিস্তানিদের দোসর তাকে এবং পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল।
বিকল্পধারা বাড্ডার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও জীবন নিয়ে আলোচনা সভা হয়।
বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিকল্পধারার সহ-সভাপতি মহসিন চৌধুরী, ওবায়দুর রহমান মৃধা, যুবধারার সভাপতি আসাদুজ্জামান বাচ্চু, যুবধারার সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সারোয়ার প্রমুখ।
ইত্তেফাক/ইউবি