শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চার্টার্ড একাউন্টেন্সি পরীক্ষায় প্রথমস্থান অর্জন করেছিলেন আ হ ম মুস্তফা কামাল

আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৪৪

শিক্ষা, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন, ক্রিকেট, ভোটের মাঠ এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণে রাজনীতি, নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন, মেধা-মনন ও দক্ষতাসহ সকল ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে আলোচিত একজন আপাদমস্তক সফল মানুষ আ হ ম মুস্তফা কামাল। স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিনি সকল মহলে ‘লোটাস কামাল’ হিসেবে সমধিক পরিচিত। তিনি সদ্য গঠিত মন্ত্রিপরিষদে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এর আগে তিনি পরিকল্পনান্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

কর্ম, পথচলায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ ও লালন করে তিনি দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন একাগ্রচিত্তে। এ রাজনীতিক কুমিল্লা তথা দেশের গর্ব। গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মেধাবী এ নেতা ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের (তদানীন্তন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান) মধ্যে সম্মিলিত মেধা তালিকায় চার্টার্ড একাউন্টেন্সি পরীক্ষায় প্রথম স্থান লাভ করে সর্বোচ্চ কৃতিত্বের রেকর্ড অর্জন করেন। আ. হ. ম মুস্তফা কামাল একজন বিশিষ্ট ক্রিকেটানুরাগী। তিনি দুই দশকের অধিক সময় আবাহনী ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি দেশের একজন খ্যাতনামা হিসাব বিজ্ঞানীও।

আ হ ম মুস্তফা কামালের শিক্ষাজীবন:
আ হ ম মুস্তফা কামাল কুমিল্লার নবগঠিত লালমাই উপজেলার বাগমারা ইউনিয়নের দত্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাইমারি শিক্ষা শেষে বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৬২ সালে এসএসসি, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ হতে এইচএসসি, ১৯৬৪-’৬৭ সালে চট্টগ্রাম সরকারি বাণিজ্যিক কলেজ হতে বি.কম (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৭-’৬৮ শিক্ষাবর্ষে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে হিসাব বিজ্ঞান ও আইন বিভাগে কৃতিত্বের সাথে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। মেধাবী এ ব্যক্তিত্ব ১৯৭০ সালে তদানিন্তন পাকিস্তানে (পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান) চার্টার্ড একাউনটেন্সী পরীক্ষায় মেধা তালিকায় সম্মিলিতভাবে প্রথম স্থান অর্জন করেন। তদানিন্তন পাকিস্তানে চার্টার্ড একাউন্টেন্সী পরীক্ষায় তিনিই একমাত্র বাঙ্গালী যিনি প্রথম স্থান অধিকার করার এক বিরল কৃতিত্বের অধিকারী। দুই পাকিস্তানে রেকর্ড সংখ্যক মার্ক নিয়ে পাস করে ‘লোটাস’ খ্যাতি পাওয়া সনদপ্রাপ্ত হিসাববিজ্ঞানী (চাটার্ড একাউন্ট্যান্ট) আ হ ম মুস্তফা কামালের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে।

রাজনীতি ও দায়িত্ব পালন:

ছাত্র জীবন থেকেই আ হ ম মুস্তফা কামালের রাজনীতিতে হাতেখড়ি। কলেজ জীবনের পুরোসময়ই তিনি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান এবং ৭০’র ঐতিহাসিক নির্বাচনের সময় তিনি আওয়ামী লীগের একজন নিবেদীত সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রার্থী হয়ে ১৯৯৬ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-৯ সদর দক্ষিণ (যা বর্তমানে কুমিল্লা-১০ সদর দক্ষিণ, লালমাই, নাঙ্গলকোট) সংসদীয় আসন থেকে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময়ে তিনি পাবলিক একাউন্টস কমিটির সদস্য, বিনিয়োগ বোর্ডের সদস্য, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সদস্য, অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, যাকাত বোর্ডের সদস্য এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত আছেন। ২০০৬ সালের ১২ মে থেকে তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১০ নির্বাচনী এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রার্থী হয়ে দ্বিতীয় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত তিনি অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১০ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রার্থী হয়ে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি একই আসন থেকে চতুর্থবারের মত সংসদ সদ্য হিসেবে বিজয়ী হন। আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। 

ব্যক্তিগত, পারিবারিক জীবন ও ক্রিকেট:

আ হ ম মুস্তফা কামাল ১৯৪৭ সালের ১৫ জুন কুমিল্লার নবগঠিত লালমাই উপজেলার বাগমারা ইউনিয়নের দুতিয়াপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম বাবরু মিয়া, মাতা মরহুমা সায়রা বেগম। তাঁর পরিবারে ৩ ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তাঁর স্ত্রী কাশমেরী কামাল একজন সফল ব্যবসায়ী। তাঁর ছেলে সন্তান নেই। দুই কন্যা সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে কাশফী কামাল স্বপরিবারে প্রবাসী এবং ছোট মেয়ে নাফিসা কামাল তাঁর বাবার মতো ক্রীড়ানুরাগী ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারপার্সন। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গণে মুস্তফা কামালের রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। তিনি ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর দায়িত্বকালে বাংলাদেশে ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়। তিনি গত ৩০ বছরেরও অধিক সময় ক্রিকেটের সাথে সম্পৃক্ত। এ সময়ে তিনি ক্রিকেটের উন্নয়নে বিভিন্ন দায়িত্বে থেকে প্রশংসনীয় অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ২০১৪ সালের ১লা জুলাই থেকে তিনি আইসিসি’র নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি আইসিসি’র সহ-সভাপতি, অডিট কমিটির সভাপতি এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে তিনি আইসিসি প্রেসিডেন্টের পদ ত্যাগ করে বিশ^জুড়ে জনপ্রিয়তায় এক নম্বর অবস্থানে চলে আসেন।

নাড়া দেয় ছোটবেলা:
সফলতার শেখরে ওঠা বর্নাঢ্য জীবনের অধিকারী লোটাস কামালের শত ব্যস্ততার মাঝেও তাঁর মনের কোণে নাড়া দেয় ছোট্ট বেলার সেই গ্রামীণ সংস্কৃতির ফেলে আসা দিনগুলো। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নিজ নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগের সময় মাঠে-ঘাটে তাঁর চলনে-বলনে ফুটে ওঠে ছোট্ট বেলার সেই খুঁনসুটি। কৃষকের ঘরে গিয়ে পিঁড়িতে বসা, স্থানীয় ভাষায় তাঁর সমবয়সী ও ছোটদের সাথে কথায় হাসি-খুশিতে মেতে উঠা, নেতা-কর্মীদের মোটর সাইকেলে চড়ে দু’হাত নেড়ে গ্রামীণ নির্মল বাতাসে নিজেকে হারিয়ে আনন্দে মেতে উঠা, কৃষকের ধান মাড়াই মেশিনে ধান ছাড়ানোর মুন্সিয়ানা প্রদর্শন, গ্রামীণ মেঠোপথে হেঁটে চলা এবং রাস্তায় যাতায়াতের পথে পাজেরো গাড়ি থেকে আকস্মিক নেমে খালে জাল (স্থানীয় ভাষায় কুনি জাল) মেরে মাছ ধরাসহ বৈচিত্র্যময় এক লোটাস কামালকে প্রত্যক্ষ করেন এলাকার মানুষ। প্রায় ৭২ বছর বয়সে ফুঁটে উঠা এমন তারুণ্যদ্বীপ্ত মননশীলতা তাঁকে আকর্ষণ করে মানুষের মনে, যা ওই সময় ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে সকল মহলে বেশ আলোচনার ঝড় ওঠে। এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়ে পড়ে।

উন্নয়নে ও ভোটের মাঠে লোটাস কামাল:
১৯৯৪ সালে কুমিল্লা-৯ (সদর দক্ষিণ) নির্বাচনী এলাকায় ভোটের মাঠে নামেন আ হ ম মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল। সেই থেকে তিনি আজও বলেন ‘সত্য কথা বলেও রাজনীতি করা যায়। পিতা-মাতার সর্বোচ্চ দায়িত্ব তাদের সন্তানদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একজন মানুষের জীবনের যাবতীয় ভাল কাজই হচ্ছে রাজনীতি। রাজনীতি হচ্ছে মানুষকে ভালোবাসা, মানুষের কল্যাণে কাজ করে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। পুরুষ এবং মহিলা সকল মানুষের জন্য বিদ্যা শিক্ষা অপরিহার্য।’ এমনিভাবে তাঁর আরও অনেক স্লোগান আকর্ষণ করে সাধারণ মানুষকে। তিনি অনেক উন্নয়ন করেছেন নিজ নির্বাচনী এলাকাসহ জাতীয় পর্যায়ে। দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আ হ ম মুস্তফা কামাল কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এখানে দলকে সুসংগঠিত করেছেন। তিনি গত ১০ বছরে এলাকার কুমিল্লা-১০ আসনের সদর দক্ষিণ, লালমাই, নাঙ্গলকোট এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, শিল্পসহ সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়েরও হয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন। এছাড়া কুমিল্লা ইপিজেড ঘিরে অন্তত ২ লাখ মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে এবং গড়ে উঠছে পরিকল্পিত আধুনিক নগরায়ন। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এর উদ্যোগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ক্রিকেট একাডেমি চালু রয়েছে। ইতোমধ্যে উক্ত একাডেমি থেকে একাধিক খেলোয়াড় জাতীয় বয়স ভিত্তিক দলে খেলছে এবং এ একাডেমি দেশ সেরা ক্রিকেট সংগঠক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে। জানা যায়, এ আসনের লালমাই ও সদর দক্ষিণ উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে আইটি পার্ক স্থাপনে জায়গা অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। এতে ১৫ হাজার পুরুষ-মহিলার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া মহিলাদের জন্য আরো একটি আইটি পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, উক্ত আইটি পার্কে ১০ হাজার মহিলার কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। লালমাই ময়নামতি পাহাড়ি জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সাড়ে ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান রয়েছে। কুমিল্লায় ২৫ একর জমির উপর একটি আধুনিক আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে। মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সভা-সমাবেশে বলে থাকেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে দেশ ও এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে করে যাচ্ছি। দেহে যতোদিন প্রাণ আছে ততোদিন দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো।’

প্রসঙ্গত: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর কুমিল্লার ১১টি সংসদীয় আসন থেকে কে কে মন্ত্রী হচ্ছেন এমন আলোচনা ছিল সর্বত্র। নির্বাচিতদের অনুসারীদের নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ছিল সরব প্রচারণা। নানা খবর বেড়িয়েছে প্রিণ্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ায়। সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত রবিবার জেলার দুই কৃতি সন্তান কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ, লালমাই, নাঙ্গলকোট) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অর্থ মন্ত্রণালয় এবং কুমিল্লা-৯ (লাকসাম, মনোহরগঞ্জ) আসনের চারবারের সংসদ সদস্য মো. তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। এর পর থেকে তাঁদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা সংশ্লিষ্ট আসন এলাকার বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ করে উল্লাস প্রকাশ অব্যাহত রেখেছেন। অনেকে ঢাকায় গিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে তাঁদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। কুমিল্লার ১১টি সংসদীয় আসনের মধ্যে আরও একাধিক আসনে মন্ত্রী থাকার প্রত্যাশা ছিল দলীয় নেতাকর্মী ও কুমিল্লার সর্বস্তরের জনসাধারণের। তবে না পাওয়ার এই হতাশার মাঝেও বর্তমান মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় অর্থ ও এলজিআরডি মন্ত্রণালয় পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত কুমিল্লাবাসী। দুই মন্ত্রীর প্রচেষ্টায় জেলার উন্নয়ন-অগ্রগতি দেশের মধ্যে একটি মডেল জেলায় রূপ নেবে এমন আশা করছেন জেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষজন। 

ইত্তেফাক/এমআই