শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মনোনয়ন বাণিজ্য করে নির্বাচনে জেতা যায় না: ড. হাছান মাহমুদ

আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:১৩

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অকশনের মাধ্যমে নমিনেশন ফরম বিক্রি করে তাদের প্রার্থী নির্বাচিত করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রথমে ৩০০ আসনে প্রায় ৮০০ প্রার্থীর কাছে ফরম বিক্রি করে সেখান থেকে অকশনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ বিডারকে প্রার্থী নির্বাচিত করেছিল।৩০০ আসনে ৮০০ প্রার্থী এটা বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে আর কখনো দেখা যায়নি। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ ভোটের মাধ্যমে বিএনপিকে প্রত্যাখান করেছে।কারণ, যারা অকশনের মাধ্যমে নমিনেশন বিক্রি করে তারা কিভাবে জয়লাভ করবে? নির্বাচনের ১০ দিন আগে হাত গুটিয়ে ঘরে বসে থেকে কি জয়লাভ করা যায়?  

শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ মন্তব্য করেন।  

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পুনঃনির্বাচনের জন্য সংলাপের প্রস্তাব ঐক্যফ্রন্টের নতুন ভাওতাবাজি। নির্বাচনে হেরে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এবং জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর জন্য ঐক্যফ্রন্ট এ নতুন ভাওতাবাজি শুরু করেছে। কিন্তু দেশের জনগণ এতো বোকা নয়। অতীতের মতো আপনাদের এই ভাওতাবাজিও জনগণ ধরে ফেলেছে।’

বিএনপির উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ২০১৪ সালে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন, পবিত্র কোরআন পুড়িয়েছেন, ইজতেমা ফেরত মুসল্লীকে পেট্রোল বোমায় ঝলসে দিয়েছেন, স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ওপর বোমা মেরেছেন। মনে রাখবেন বোমাবাজি করে ত্রাস করা যায়, ভোট পাওয়া যায় না। তাই আপনাদের বলবো নিজেদের পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করুন, দলে নেতৃত্বের পরিবর্তন আনুন এবং বিএনপিকে ঢেলে সাজান। তার পাশাপাশি আপনাদের কয়েকজন নেতারও মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা করান।’ 

আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলেছে। তার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ অতিদরিদ্র থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত। এটি শেখ হাসিনার জাদুতে হয়েছে।একটি পক্ষ বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখেও দেখে না, এর প্রশংসাও করতে জানে না। তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে চায়।’

আরও পড়ুন: একে একে ৬ যাত্রীকে খুন করলেন উবার চালক

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনায় তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি, শূন্যতা অনুভব করেছিলো দেশ। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরলেই এর পূর্ণতা আসে। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করে উন্নয়নের দিকে নিয়ে আসেন। কিন্তু ঘাতকরা সেই উন্নয়ন সহ্য করতে পারিনি। তারা জাতির পিতাকে হত্যা করে। তার কন্যা ক্ষমতায় এসে দরিদ্র রাষ্ট্রকে আজ মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে গেছেন।’
  
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, নগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সম্পাদক আক্তার হোসেন, অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, অভিনেত্রী তারিন, নূতন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, সহ-সভাপতি রোকেয়া প্রাচী প্রমুখ।

ইত্তেফাক/কেকে