শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

৯টি প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনের যৌথ বিবৃতি

উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীদের কঠোর হস্তে দমনের ঘোষণা সাবেক ছাত্রনেতাদের

আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২০, ১৮:৩৫

ভাস্কর্য বিরোধী ও ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টিকারী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীদের কঠোর হস্তে দমন এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ৯টি প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনের ১৬ জন সাবেক ছাত্র নেতা। এত যৌথ বিবৃতিতে রবিবার (২৯ নভেম্বর) তারা এ কথা জানান।

উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ভাস্কর্য বিরোধী ধর্মীয় উস্কানি ও উন্মাদনা সৃষ্টির অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বেশ কিছুদিন ধরে ভাস্কর্যকে নিয়ে এক ধরনের ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টির পায়তারা করছে। আমরা দ্ব্যর্থ হীনভাবে বলতে চাই, ভাস্কর্য শিল্পকর্ম। এটা জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য, জাতীয় বীর, নেতা, শিল্পী, সাহিত্যিক, প্রাণী, ফল, ফুল যে কোন বিষয়েই নির্মিত হতে পারে। এটা নিয়ে অহেতুক বিতর্কের কোন সুযোগ নেই। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সকল ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার ঘোষণার মাধ্যমে ৫২’র ভাষা আন্দোলনের ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত ‘শহীদ মিনার’ এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের ও মুক্তিযুদ্ধের নায়কদের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার উসকানি দিচ্ছে এবং বাঙালী রাষ্ট্র ও অসাম্প্রদায়িক সমাজের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যুদ্ধের উন্মাদনা সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছে। এ উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী হাজার বছরের বাঙালীর ঐতিহ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস, মূল্যবোধ, অসাম্প্রদায়িকতাসহ সকল অর্জনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। আমরা দেশের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল সকল শক্তিকে একতাবদ্ধ হয়ে ভাস্কর্য বিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীদের এক চুলও ছাড় না দিয়ে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাই।

এই নেতৃবৃন্দ, ভাস্কর্য বিরোধী অন্ধকারের অপশক্তি ধর্মীয় উন্মাদনা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কঠোর হস্তে দমনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

বিবৃতি দাতা ছাত্রনেতৃবৃন্দ হলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সাবেক সভাপতি শরিফুল কবির স্বপন, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সামসুল আলম সজ্জন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আবু নাসের অনিক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান তরুণ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, ছাত্র জোটের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক মাসুম উদ্দীন, বাংলাদেশ ছাত্র কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী লিটন, জাতীয় ছাত্র ঐক্যের সাবেক সভাপতি জুয়েল আহমেদ খান, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক  মুক্তার হোসেন নাহিদ, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি মাহফুজুর রহমান সমুদ্র, ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শুভাশিস সমাদ্দার শুভ, বাংলাদেশ ছাত্র সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ।

ইত্তেফাক/আরএ