ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগে পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বিতর্কিতরা। ক্যাসিনো-বিরোধী শুদ্ধি অভিযোনে সংগঠনটির প্রভাবশালী বেশকিছু নেতাকর্মীর নাম আসে। গ্রেফতার করে কয়েক জনকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলাও চলছে। শুদ্ধি অভিযানের মধ্যেই সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে বিতর্কিত, চাঁদাবাজ, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তদের বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন বিভিন্ন ইউনিট গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতেই শুরু হয়েছে দুর্নীতি ও ক্যাসিনো-কাণ্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্তদের তোড়জোড়। দলে ভিড়তে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত এবং অনুপ্রবেশকারীরা এখন বেশ তত্পর।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পর প্রধান দুইটি সুপার ইউনিট ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগ। অভিযোগ রয়েছে, এই দুইটি সংগঠনের নেতাকর্মীদের একটি অংশ দুর্নীতিগ্রস্ত। ক্যাসিনো-সম্পৃক্ততা, চাঁদাবাজি, জায়গা দখলসহ বহু অভিযোগ রয়েছে এই দুইটি ইউনিটের এক শ্রেণির নেতার বিরুদ্ধে। এমনকি মামলাও হয়েছে তাদের নামে। বেশ কয়েক জন যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আরও পড়ুন: একরামুল করিম নিজের অপকর্ম ঢাকতে মিথ্যাচার করছে: কাদের মির্জা
ক্যাসিনো-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার দুই জন সহসভাপতির বিরুদ্ধেও। তারাও এবার দক্ষিণ যুবলীগের শীর্ষ পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগে বিতর্কিত নেতাদের সংখ্যাও কম নয়। এসব বিতর্কিত নেতা ধরনা দিচ্ছেন দ্বারে দ্বারে।
আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের দুই নেতা ইত্তেফাককে জানান, পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি আছে—এমন সত্ ও দলের দুঃসময়ে মাঠে থাকা নেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর যুবলীগের নেতৃত্বে সাবেক ছাত্রনেতারা চমক হিসেবে থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির একাধিক নেতা।
ইত্তেফাক/এএএম