শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

খালেদা জিয়াকে পাসপোর্ট দিতে শর্ত শিথিল

আপডেট : ০৬ মে ২০২১, ২১:৫৮

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এমআরপি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্টের জন্য সশরীরে উপস্থিত থেকে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও আবেদনপত্রে স্বাক্ষর দেওয়ার নিয়ম থাকলেও বেগম জিয়ার ক্ষেত্রে সেই শর্ত শিথিল করা হয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের ফি জমা দেয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই সেটি দেয়া হবে। ২০১৯ সালে পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বিএনপি নেত্রীর।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তার পক্ষে আবেদন করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তিনি দ্রুততম সময়ে পাসপোর্ট পাবেন।

জানা যায়, খালেদা জিয়ার পরিবার খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার অনুমতি পেতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করেন। সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন জমা দেন।পরে আবেদনপত্রটি পর্যালোচনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানের বাসায় খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে দ্রুতই জানানো হবে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে আবেদনের সিদ্ধান্ত আজ নয়, তবে দ্রুতই জানানো হবে। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হলে ফলাফল আবারও পজিটিভ আসে। এরপর কিছু পরীক্ষার জন্য তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রথম দফায় পরীক্ষা করে বাসায় ফেরার পর দ্বিতীয় দফায় ২৭ এপ্রিল তাকে ফের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সোমবার ভোরের দিকে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।

এদিকে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের করোনার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তার ফুসফুস থেকে তরল জাতীয় পদার্থ (ফ্লুইড) অপসারণ করা হয়েছে। তার ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। এর মাত্রা ওঠানামা করছে। এছাড়া অক্সিজেনের মাত্রাও কিছুটা কমেছে। এমন পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার জোর আলোচনা শুরু হয়।

ইত্তেফাক/এনএ