শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

স্বাস্থ্যঝুঁকিতে খালেদা জিয়া, দাবি মির্জা ফখরুলের

আপডেট : ১১ জুন ২০২১, ১৭:১৭

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, করোনা থেকে মুক্ত হলেও পুরনো রোগের জটিলতায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতেই আছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপার্সনের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে শুক্রবার (১১ জুন) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) মেডিকেল বোর্ডের সর্বশেষ বক্তব্য হচ্ছে, উনার মিনিমাম যে প্যারামিটারগুলো আছে তা আগের থেকে মোটামুটি বেটার। ফান্ডামেন্টাল কিছু সমস্যা রয়েছে যে সমস্যাগুলো উদ্বেগজনক। একটা হচ্ছে তার হার্টের প্রবলেম আরেকটা কিডনির প্রবলেম। এই দুইটি নিয়ে মেডিকেল বোর্ড উদ্বিগ্ন। উনার মনে করছেন যে, বাংলাদেশে যে হাসপাতালগুলো আছে, এডভান্স সেন্টারগুলো আছে– সেগুলো যথেষ্ট নয় উনার টিট্রমেন্টের জন্য।’

তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বার বার বলছেন যে, উনার (খালেদা জিয়া) এডভান্স টিট্রমেন্ট দরকার, তার অসুখগুলো নিয়ে এডভান্স সেন্টারে যাওয়া জরুরি। আমরা সেটা বার বার বলছি।’No description available.
খালেদা জিয়ার এই বিষয়গুলো নিয়ে জামিনের জন্য আদালতে যাবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগেও বলেছি, এরকম প্রশ্নের উত্তর আমরা দিয়েছি- দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে আদালতে। একেবারে রাজনীতি থেকে শুরু করে আইনগতভাবে আদালতে ক্ষতিটা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করেছে আদালত, তারপরে যাবতীয় আইন করেছে তা আদালত করেছে। আর ম্যাডাম খালেদা জিয়ার প্রতি যদি চরম অন্যায় করে থাকে তাহলে আদালত করেছে। কোনো আইনেই কোনোভাবেই তার সাজা হতে পারে না এবং তার আবার বর্ধিত করা যেতে পারে না।’

গত ২৭ এপ্রিল পোস্ট কোবিড জটিলতায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। হাসপাতালে হৃদরোগে বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে।

গত ৩ মে  শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। দুই নল নিয়ে স্থাপন করে তার ফুসফুসে পানি অপসারন করা হয়। গত ৩ জুন চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয়। সিসিইউতে থাকা অবস্থায় গত ২৮ মে খালেদা জিয়া ‘হঠাৎ’ জ্বরে আক্রান্ত হন। ৩০ মে তার জ্বর নিয়ন্ত্রণে আসে। গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। করোনামুক্ত হন ৯ মে।

ইত্তেফাক/এমইউএ/এসজেড