শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাতের নির্বাচনে গণতন্ত্রকে কবরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে: ড. মোশাররফ

আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০১৯, ২১:১২

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এই সরকারের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে গণতন্ত্র এখন কবরে চলে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেও হত্যা করা হয়েছে। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের একক নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের গণতন্ত্র হোঁচট খেয়েছিল আর ২০১৮ সালে আগের রাতের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে কবরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে এখন এক ব্যক্তির ইচ্ছা আর অনিচ্ছার উপরেই আইনের গতিপ্রবাহ নির্ধারিত হচ্ছে, বিচারও হচ্ছে। ১/১১ এর অবৈধ সরকারের আমলে দায়ের করা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৯শ’ মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অথচ বেগম খালেদা জিয়ার কোনো মামলাই প্রত্যাহার করা হয়নি। বরং আরো মামলা দিয়ে তাকে অন্যায়ভাবে জেলখানায় বন্দি করে রাখা হয়েছে।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসন: কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

ফেনীর নুসরাত জাহার রাফির হত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগের লোকজনই জড়িত বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, নুসরাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ নিজেও ওলামা লীগের নেতা। এই ধর্ষকের পক্ষে কারা মিছিল করেছে? এই আওয়ামী লীগ। আমার বিশ্বাস সে যদি আওয়ামী লীগ না করতো তাহলে এ ধরনের নৃশংস কাজ সে করতে পারতো না। যেখানে আইনের শাসন নেই সেখানে গণতন্ত্র থাকতে পারে না। বর্তমানে দেশে আইনের শাসন নেই, তাই গণতন্ত্রও নেই। সরকার দুবারই গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। ক্ষমতাসীনরা নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

আরো পড়ুন: ‘ফেস আনলক’ ব্যবহার করে ঘুমন্ত যুবকের লক্ষাধিক টাকা চুরি

সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্থাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাসাসের সভাপতি ড. মামুন আহমেদ, বিএনপির চেয়ারপারসেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য গাজী মাজহারুল আনোয়ার, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালে প্রিন্স প্রমুখ।

ইত্তেফাক/এমআই