শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবায় সরকার, অপরাজনীতিতে বিএনপি’

আপডেট : ২৬ মে ২০১৯, ১৭:২৫

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সরকার খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে আসছে, আর বিএনপি এ নিয়ে অপরাজনীতি করে চলছে।’ 

আজ রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ’ শীর্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়ের শুরুতে সমকালীন রাজনীতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। 

এ সময় ‘সরকার বেগম জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে’ বিএনপির এহেন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ড. হাছান বলেন, ‘সরকার তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে সব সময় সচেষ্ট। কিন্তু বিএনপি নেতারা যেভাবে বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন। বেগম খালেদা জিয়া সেটা জানতে পারলে নিশ্চয়ই উষ্মা প্রকাশ করবেন যে, তোমরা আমাকে মেরে ফেলছ কেন? বিএনপি নেতাদের বলবো বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে অপরাজনীতি না করতে।’ 

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক সভায় উপস্থিত ছিলেন। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া যখন পুরনো ঢাকা কারাগারে ছিলেন তখন তার জন্য সার্বক্ষণিক একজন নার্স, একজন ফিজিওথেরাপিস্ট এবং একজন ডাক্তার ছিল তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। এছাড়াও তার পছন্দের গৃহপরিচারিকাও সঙ্গে ছিল, যা উপমহাদেশে অন্য কারো জন্য হয়েছে কি না আমার জানা নাই। এছাড়াও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা সময়ে সময়ে তার সঙ্গে দেখা করে তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন।’ 

‘বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক যে সব সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো পুরাতন সমস্যা’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘তার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে। এসব সমস্যা নিয়েই তিনি দু’বার দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন, বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। বিএনপির মতো একটি বড় দলের তিনি চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সমস্যাগুলো মাঝে মধ্যে বাড়ে-কমে। সুতরাং এগুলো নতুন কোনো সমস্যা না। এছাড়া ক’দিন আগে তার জিহ্বা কামড় লেগে একটু ঘা হয়েছিল, তিনি স্বাভাবিকভাবে খেতে পারছিলেন না। এমন মাঝে মধ্যে আমাদেরও হয়। তার সেই সমস্যাও কেটে গেছে।’ 

গণতন্ত্রের জন্য ড. কামাল হোসেন আহুত বিরোধীদলীয় ঐক্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন সাহেব যে ঐক্য ফ্রন্ট করেছিলেন, সেই ঐক্য ফ্রন্টেই তো ঐক্য নাই। অনেকেই বেরিয়ে গেছে। নিজেদের ঐক্যই তো ধরে রাখতে পারেন নাই। উনি শুধু বলতেই পারবেন, এর বেশি কিছু করতে পারবেন বলে মনে হয় না।’ 

এ সময় সরকার সম্প্রচার আইন প্রণয়ন নিয়েও একাগ্রভাবে কাজ করছে, জানান তথ্যমন্ত্রী। 

আরও পড়ুন: শাহবাগে শিক্ষার্থী-পুলিশের সংঘর্ষের মামলার প্রতিবেদন ১০ জুলাই

সংবাদপত্র পরিষদ নেতৃবৃন্দ এ সময় সংবাদপত্র শিল্পের উন্নয়নে তথ্যমন্ত্রী ও তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় অংশ নেন। 

সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি শাহজালাল, সাধারণ সম্পাদক এম.জি. কিবরিয়া চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান আলী, রফিক উল্লাহ সিকদার, যুগ্ম সম্পাদক, শেখ মঞ্জুর বারী মঞ্জু, সদস্য মো. তাজুল ইসলাম, নীতিশ সাহা, এম.এ. জলিল, কাজী আনোয়ার কামাল, মাছুদউর-রহমান মিলু, শহিদুল ইসলাম, সুজিত কুমার দাশ, নেজামুল হক, মাহমুদুর রহমান, মো. আনোয়ার হোসেন, এ বি এম সেলিম আহমেদ, এম এইচ মোতালেব খান, এ কে এম এ মোস্তাক, মো. মিন্নাত হোসেন, বকসি ইকবাল মজিদ ও চৌধুরী আতাউর রহমান প্রমুখ সভায় যোগ দেন।

ইত্তেফাক/কেকে