বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিএসএমএমইউতে ‘বোমার’ সঙ্গে বিএনপি আছে কি-না দেখা প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট : ০৮ জুন ২০১৯, ১৮:৫৫

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে পেট্রোল বোমা সদৃশ বোতল উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড বা অন্য কোন হাসপাতালে সরানোর পরিকল্পনার যোগসূত্র রয়েছে কি-না তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন। 

শনিবার (৮ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়াানজী পুকুর পাড়ের বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি এ সব কথা বলেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিএসএমএমইউ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলার রেজিস্ট্রারের কক্ষের সামনে থেকে পেট্রোল বোমাসদৃশ একটি বোতল উদ্ধার করে শাহবাগ থানার পুলিশ। এই হাসপাতালেরই আরেকটি ভবন কেবিন ব্লকের ৬২১ নম্বর কক্ষে কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন। বোমা সদৃশ বোতল উদ্ধারের পেছনে ‘ওপর মহলের নীলনকশা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রিজভী আহমেদ কারণে-অকারণে প্রতিদিনই সংবাদ সম্মেলন করেন। এই পেট্রোলবোমার সঙ্গে রিজভী আহমেদরাই ভালো পরিচিত। তার উদ্বিগ্ন হবার কারণ জানি না। তাদের কর্মীরাই ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে পেট্রোলবোমা মানুষের ওপর নিক্ষেপ করেছে। শতশত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। বাস-ট্রাক পুড়িয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে আগুনে ঝলসে দিয়েছে। ঘুমন্ত মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা মেরেছে। এখন হাসপাতালে বোমা সদৃশ্য বস্তু পাওয়াতে বরং আমরা বেশি উদ্বিগ্ন।

তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে সব সময় বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিবেন না বলা হচ্ছিল। একটি বিশেষ হাসপাতালের কথা তিনি এবং তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল বারবার। এখন বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে যে চিকিৎসা নিতে চান না, বোমা সদৃশ্য বস্তু পাওয়া সেই পরিকল্পনারই কোন অংশ কি-না সেটি বরং খুঁজে বের করা দরকার। 

আরো পড়ুন: নদীবন্দরসমূহকে দেওয়া সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ফেলা হয়েছে

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদের দিন দেখা করতে না দিয়ে জেল কোড লংঘন করা হয়েছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নিজের মতো ব্যাখ্যা না দিয়ে মির্জা ফখরুলের উচিৎ ছিল জেল কোড ভালো করে পড়ে নেওয়া। জেল কোডে বলা আছে, উৎসবের দিনে আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবকে দেখা করতে দিতে হবে। মির্জা ফখরুলসহ দলের ঊর্ধ্বতন নেতারা খালেদা জিয়ার বন্ধুবান্ধব নন, তারা হলেন রাজনৈতিক নেতা বা সহকর্মী। এখানে জেল কোডের কোন লংঘন হয়নি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলীয় ঊর্ধ্বতন নেতারা সেই ক্যাটাগরির মধ্যে পড়েন না। সাতজন আত্মীয়-স্বজনকে দেখা করতে দেওয়া হয়েছে। 

বিএনপি নেত্রীকে বিএসএমএমইউ থেকে নিয়ে যাবার জন্যই কি বোমা সদৃশ্য বস্তু রাখা হয়েছে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এটা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন, আসলে এগুলো কারা রেখেছিল। বেগম খালেদা জিয়াকে তারা সেখানে রাখতে চান না। তারা সব সময় বলে আসছেন ইউনাইটেড হাসপাতাল কিংবা অন্যকোন বেসরকারি হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দিতে হবে। এখন সেখানে পেট্রোলবোমা সদৃশ জিনিস পাওয়ার পেছনে সেটির কোন সংযোগ আছে কি-না তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।

ইত্তেফাক/এমআই