শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ষড়যন্ত্র-প্রতিকূল অবস্থা পেরিয়ে জাপা শক্তিশালী অবস্থানে: জিএম কাদের

আপডেট : ২৪ জুন ২০১৯, ২০:০২

জাতীয় পার্টির (জাপা) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, জাপা ২৯ বছর ক্ষমতার বাইরে। অনেক ষড়যন্ত্র ও প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করে জাপা শক্তিশালী অবস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছে। দল এখন সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। সম্ভাবনাময় একটি দল হিসেবে জাপাকে প্রতিষ্ঠিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

চারদিনব্যাপী দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সভার প্রথমদিনে সোমবার রাজধানীর এজিবি কলোনি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, জাপায় তৃণমূলকে মূল্যায়ন করে নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হবে। মনোনয়ন ও পার্টির বিভিন্ন নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রে অতীত ত্যাগ-শ্রম বিবেচনা করে মূল্যায়ন করা হবে। উড়ে এসে জুড়ে বসার সুযোগ জাপায় থাকবে না। ভাড়া করা লোক দিয়ে সংগঠন হবে না। সংগঠনে কোন্দল সৃষ্টিকারীকে রাখা হবে না। 

তিনি বলেন, জাপার আজকের এই শক্তিশালী অবস্থানে থাকার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের। আমি তার মত বড় মাপের নেতা নই। আমি জাপার খাদেম হিসেবে থাকতে চাই।

সভার সঞ্চালক জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, দলের যারা ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগে গেছে তাদের চিহ্নিত করা হবে। ২১ বছর পর এরশাদের সমর্থনে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ আমাদের মূল্যায়নের পরিবর্তে অপমান করছে। ভবিষ্যতে জাপার ওপর আঘাত করার চেষ্টা করলে আমরাও বসে থাকব না, প্রতিউত্তর দেব। 

আরো পড়ুন: পুলিশের চোখে মরিচের গুড়া দিয়ে অস্ত্র ছিনতাই

তিনি বলেন, আমরা কেন ২২টি আসন পেলাম? জোট করার পরেও কেন আমাদের অধিকাংশ আসনে নির্বাচন করতে হলো? আগামীতে আর কারও সঙ্গে জোট নয়, আমরা এককভাবে নির্বাচন করব।

রাঙ্গা আরও বলেন, আজকের সভায় সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া জেলা ও অঙ্গসংগঠনের যেসব নেতা আসেননি তাদেরকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হবে। আজকে সভাস্থলে আসার আগে পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে বলে দাবি করে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘উনি আমাকে বলেছেন- জিএম কাদেরের প্রতি আমার শতভাগ সমর্থন আছে। অসুস্থতার কারণে তিনি সভায় আসতে পারেননি।’ 

যারা এরশাদ ও জিএম কাদেরের রাজনীতি করবেন না তাদের জাপা করার প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন রাঙ্গা। 

সভার শুরুতে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় বেশ কয়েকটি টেবিল-চেয়ার ভাংচুর করা হয়। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, আযম খান, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জহিরুল আলম রুবেল প্রমুখ।

ইত্তেফাক/এমআই