শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

এরশাদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া তার জন্মস্থান ভারতেও

আপডেট : ১৫ জুলাই ২০১৯, ২১:০১

রবিবারের সকাল, ঘড়ির কাঁটা তখন আটটা ছুঁইছুঁই। বাংলাদেশের ঢাকা থেকে হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর খবর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়ল গোটা পরিবার। শোকে বিহ্বল দিনহাটার কয়েক লক্ষ বাসিন্দা। এরশাদ আর দিনহাটায় ফিরবেন না, তা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না কেউ। কোচবিহারের দিনহাটাই বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এরশাদের জন্মভিটা।

দিনহাটায় এখনও  এরশাদের চাচাতো ভাই ও তাঁর পরিবার বসবাস করেন। শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাড়িতেই ম্যাট্রিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন এরশাদ। তারপরেই অবিভক্ত বাংলাদেশের রংপুর জেলার কারমাইকেল কলেজে তিনি পড়তে চলে যান। 

এরশাদের  ভাই মোজাব্বর হোসেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনকে জানান, যুদ্ধের পর কয়েক বছর কোনও খোঁজখবর ছিল না৷ এরপর ১৯৭৫ সালে হঠাৎ ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে একটি চিঠি বাড়িতে এসে পৌঁছেছিল৷ সেখানে লেখা ছিল, এরশাদ বাড়ি ফিরছেন।

সেই চিঠির কথা আজও তাঁরা ভুলতে পারেননি৷ কারণ, তাঁরা ভেবেছিলেন এরশাদ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। যদিও তাঁর বাড়ি ফেরার পর সেই ভ্রান্ত ধারণা দূর হয়। তিনি ভারতের দেরাদুনে প্রশিক্ষণে ছিলেন এবং সেখান থেকেই বাড়ি ফিরেছিলেন।

বছর দুই আগে, ২০১৭ সালে দিনহাটায় এসেছিলেন এরশাদ ৷ তবে মোজাব্বর হুসেনের পুত্র এহসান হাবিব ও পূত্রবধু সাবিরা সরকার গত এপ্রিল মাসে ঢাকায় গিয়েছিলেন এরশাদের সঙ্গে দেখা করতে। তাঁরা জানান,  সেখানেই এরশাদ ফের দিনহাটা ফেরার ইচ্ছা জানিয়েছিলেন। তবে তাঁর সেই ইচ্ছে আর পূরণ হল না৷

আরও পড়ুনঃ সুপার ওভারেও টাই, তবু কেন চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড?

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কোচবিহার অঞ্চলে ছিটমহল বিনিময়ে তাঁর অবদান আজও অনস্বীকার্য। ছিটমহল বিনিময় আন্দোলনের অন্যতম নেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত জানান, এরশাদ ছিটমহলবাসীর দাবি, আন্দোলনকে বারবার উৎসাহিত করেছিলেন। অন্যতম অভিভাবক হিসেবে ছিলেন।

ইত্তেফাক/টিএস