বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

১০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দীতে ঐক্যফ্রন্টের জনসভা

আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:০৩

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আগামী ১০ ডিসেম্বর সোমবার এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ এ ঘোষণা দেন।

রিজভী বলেন, জনসভা উপলক্ষে আমরা পুলিশ কমিশনার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি, ১০ ডিসেম্বর সোমবার ঐক্যফ্রন্টের এই জনসভা সার্থক ও সাফল্যমণ্ডিত হবে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করে আবারও ক্ষমতায় থাকার জন্য নানা কলাকৌশল ও নীলনকসা তৈরি করেছে এ অবৈধ সরকার। আর এ প্রহসনের অংশ হিসেবেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিপুল জনপ্রিয় বেগম জিয়া ও জনগণকেই শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় ভয়। শেখ হাসিনা বসে বসে নির্বাচনে কারচুপির অভিনব মহাফন্দি কষছেন।

আরো পড়ুন: কুমিল্লার নাশকতার মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বহাল

‘‌শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ কথাটা তামাদি করে ফেলেছে আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট নুরুল হুদা কমিশন’ এমন অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের পক্ষে ইসির নজিরবিহীন পক্ষপাতিত্ব ভোটারদেরকে হতাশ ও ক্ষিপ্ত করে তুলছে। নির্বাচন সামনে রেখে দেশব্যাপী গ্রেফতারের মহোৎসব চলছে।মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকে গ্রেফতারের পরিমাণ বেড়ে গেছে। গতকাল (৫ ডিসেম্বর, বুধবার) পর্যন্ত ২ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।

রিজভী বলেন, নির্বাচনের মাঠে বিএনপিকে ঘায়েল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নামে-বেনামে, গায়েবি মামলায় নেতাকর্মীদের আটক রাখা হয়েছে। মামলা আর পুলিশি হয়রানির কারণে নেতাকর্মীরা ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশি হেনস্তার ভয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা আসন্ন নির্বাচনে নির্ভয়ে প্রচারণা চালাতে পারবেন কি না সে নিয়েও আতঙ্কে রয়েছেন তারা।

তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের অবৈধ মন্ত্রী লোটাস কামালের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির ভয়াবহ পরিকল্পনা ফাঁস করেছেন।আমি লোটাস কামালদের বলতে চাই- এসব হুমকি ধামকি ভয়ভীতি দেখিয়ে এবার আর লাভ হবে না। যখন জনগণ ভোটের মাঠে নেমে আসবে তখন কোনো ফন্দি কাজে দেবে না। কাঁচের মতো সব কিছু চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে। অপেক্ষা করুন, দুঃশাসনের বিরোধী সেই জনগণের বিজয়ের দিন খুবই নিকটবর্তী। সরকারের অবরোধী কৌশলে জনগণ আত্মসমর্পণ করবে না।

ইত্তেফাক/এএম