মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নির্মূল করতেই হবে : খালিদ মাহমুদ

আপডেট : ২২ আগস্ট ২০১৯, ১৪:৪৩

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের নীলনকশাকারীদের নির্মূল করা না গেলে দেশে মানবাধিকারকে কখনো সমুন্নত করা যাবে না।

 

তিনি বলেন, মানবাধিকার নেতারা আইনের শাসন ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বললেও বঙ্গবন্ধু, শিশু রাসেল, সুকান্ত বাবু এবং অন্তঃসত্বা আরজু মনির হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোন কথা বলেন না। তারা শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কথা বলেন।

 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা দম্ভ দেখায়, আইনকে চ্যালেঞ্জ করে, তাদেরকে নির্মূল করতেই হবে। এটি একটি রাজনৈতিক আন্দোলন। এ আন্দোলনে সকলকে সম্পৃক্ত হতে হবে।

 

রবিবার সকালে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বিআইডব্লিউটিএ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ।

খালিদ মাহমুদ বলেন, রক্তদান কর্মসূচির লক্ষ্য হলো আমাদের সকলের মধ্যে অনুপ্রেরণা এবং সচেতনতা সৃষ্টি করা । বঙ্গবন্ধু রক্ত দিয়ে আমাদেরকে ঋণী করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গঠন করতে পারলে তার ঋণ শোধ এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।

আরো পড়ুন : ডেঙ্গু জ্বরে ঢাকা মেডিকেলে আরো একজনের মৃত্যু

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী, কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী আব্দুল আলীমকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছিলেন। চিহ্নিত খুনি রশিদ-ফারুকচক্রকে বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছেন। তিনি হাজার হাজার সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিনা বিচারে হত্যা করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সময়েও রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পায়।

 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার শুরু করে। সে সময়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারিদের নিম্ন আদালত ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে সে বিচার কার্যক্রম আর আলোর মুখ দেখেনি। বাসস

 

ইত্তেফাক/ইউবি