শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট বিশ্বের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট: নৌ প্রতিমন্ত্রী

আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:৫৯

সারাদেশে স্কুল পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট বলে মন্তব্য করেছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এখানে যে পরিমাণ দল অংশগ্রহণ করে এমনটা আর অন্য কোন টুর্নামেন্টে হয় না। 

শনিবার দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার মেলাগাছি মাঠে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা টুর্নামেন্ট উদ্বোধনকালে তিনি এ সব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলার মধ্য দিয়ে ছেলেমেয়েদের মধ্যে সুস্থ চিন্তা গড়ে ওঠে, তাই দেশের অগ্রগতির জন্যে এই চর্চার বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন, খেলাধুলার মধ্য দিয়ে শুধু সবাই সাকিব আল হাসান হবে তা নয়, এর সঙ্গে ছেলেমেয়েদের মধ্যে যেন সুস্থ চিন্তা গড়ে ওঠে এবং তা বাংলাদেশের অগ্রগতিতে কাজে লাগে সেজন্যেই সরকার এই খাতে পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা খেলাধুলায় এগিয়ে যাচ্ছে। ভলিবল বলেন, মেয়েদের জিমন্যাস্টিকস বলেন সব ক্ষেত্রে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার কারণে আমাদের খেলোয়াড়রা ভালো ফল করছে।

আরো পড়ুন: রোহিঙ্গা সমাবেশে মদদদাতারা চিহ্নিত

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশে প্রাইমারি স্কুলের ছেলেমেয়েরা খেলছে। আগে মেয়েদেরকে দর্শকসারিতে বসিয়ে রাখা হত হাততালির দেওয়ার জন্য। তাদের খেলার সুযোগ দেয়া হত না। এখন মেয়েরা খেলছে, তারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। তারা ছেলেদের চেয়ে ভালো করছে। এই পৃষ্ঠপোষকতা সরকারের আছে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশে স্কুলগুলোতে একসময় স্পোর্টস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। ক্লাবগুলো ঝিমিয়ে পড়েছিল। দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরা এখন খেলাধুলায় পৃষ্ঠপোষকতা করছে। যেটা অতীতে আমরা কখনো দেখি নাই। এই যে তাদের এগিয়ে আসছে এর মধ্য দিয়ে খেলাধুলা যেমন এগিয়ে যাচ্ছে তেমনি তাদের ব্যবসায়ীক ব্র্যান্ডিং হচ্ছে। পৃথিবীর বড় বড় যেসব ক্লাব আছে, বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, পিএসজি এসব ক্লাবের সঙ্গে বড় বড় ব্যবসায়ীরা জড়িত। তারা এসবে পৃষ্ঠপোষকতা করেন। 

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল হাসান, সেতাবগঞ্জ পৌর মেয়র এম এ সবুর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সৈয়দ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফছার আলী, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বজলুর রশীদ প্রমুখ।

ইত্তেফাক/জেডএইচ