বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ক্ষমতায় টিকে থাকতেই দেশের স্বার্থ বিক্রি করেছে সরকার: রিজভী

আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:৪৬

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, 'কোনো সমস্যার সমাধান না হলেও ক্ষমতায় টিকে থাকতেই দেশের স্বার্থ বিক্রি করেছে সরকার।' রবিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

‌তিনি বলেন, 'চুক্তির ব্যাপারে সংসদসহ কোনো পর্যায়েই আলোচনা করেনি সরকার। তিস্তাসহ কোনো সমস্যার সমাধান করতে না পারলেও ক্ষমতায় টিকে থাকতেই দেশের স্বার্থ বিক্রি করে দিয়েছে সরকার। চুক্তিগুলোর খবর জেনে দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। মনে হয়েছে, এগুলো চুক্তি নয়, যেন শেখ হাসিনা আরেকটি দাসখত দিলেন। এর মাধ্যমে মূলত স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের সমুদ্রবন্দর, ফেনী নদীর পানি ও জ্বালানি সংকটময় বাংলাদেশের গ্যাস হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এসব চুক্তি ছাড়াও নিজেদের নিরাপত্তার কথা না ভেবে উপকূলীয় নজরদারির জন্য বাংলাদেশে রাডার স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তার বদলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেয়েছেন ক্ষমতার মসনদে থাকার গ্যারান্টি আর ঠাকুর শান্তি পুরস্কার। বিনিময়ে বাংলাদেশ কিছুই পায়নি। আমাদের সীমান্তে হত্যার সমস্যার সমাধান হয় না, আমাদের তিস্তার পানির সমস্যার সমাধান হয় না, বর্ষায় ফারাক্কার বাঁধ খুলে দিলে প্রবল বন্যার সৃষ্টি হয়। এখনো ভাসছে উত্তরাঞ্চল, এ সমস্যার সমাধান হয় না, বাণিজ্যের মধ্যে বিশাল ভারসাম্যহীনতা, সেটার সমাধান হয় না। এর আগে গত বছরের মে মাসে ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে গর্বভরে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা ভারতকে যা যা দিয়েছি, তারা তা সারাজীবন মনে রাখবে। আর এবার তিনি নিজ দেশের জনগণকে নিজ দেশের নদীর পানি থেকেও বঞ্চিত করলেন।'

আরও পড়ুন:  ভারত সফরের দেশ-বিরোধী চুক্তি আড়াল করতেই সম্রাট নাটক: রিজভী

বাংলাদেশের জনগণ ভারতের কাছে তিস্তার ন্যায্য হিস্যা বুঝে পেতে চায় উল্লেখ করে রিজভী বলেন, 'আপনারা দেখলেন, ফেনী নদীর ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করতে পারবে ভারত। ভারত এই পানি ত্রিপুরার সাবরুম শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্পে ব্যবহার করবে। ভারতকে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম আর মোংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ। এসব চুক্তির বিস্তারিত কি জনগণের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে? জনগণকে কি জানতে দেওয়া হয়েছে? এমনকি মধ্যরাতের ভোটে নির্বাচিতদের দিয়ে গঠিত সংসদেও আলোচনা হয়নি।'

ইত্তেফাক/জেডএইচডি