শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পাখি

বিলাসী পাখি হামিং

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২০, ২১:৫৭

প্রকৃতির মাঝে দেখতে পাওয়া যায় অসংখ্য পাখি। সারাক্ষণ গাছের এ ডাল থেকে ও ডালে ফুরুত্ ফুরুত্ করে উড়ে বেড়ায়। পৃথিবীতে সবচেয়ে ছোটো আকৃতির পাখি হচ্ছে হামিং। এটি আমেরিকার উষ্ণ অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। এরা সারাক্ষণ ওড়ে, কিন্তু ক্লান্ত হয় না। ওড়ার সময় তাদের ডানাগুলো বাতাসে গুনগুন আওয়াজ তোলে। গুনগুন শব্দের ইংরেজি পারিভাষিক শব্দ হচ্ছে Humming। ওড়ার সময় গুনগুন শব্দ হয় বলে এই ক্ষুদ্র পাখির নাম হয়েছে ‘হামিং’।

হামিং বার্ড খুব শৌখিন প্রকৃতির। গায়ের রং বেশ উজ্জ্বল। রূপের দিক থেকে বিচার করলে স্ত্রী হামিং বার্ডের চেয়ে পুরুষ হামিং বার্ড বেশ সুন্দর। এই পাখি খুব সুন্দর করে বাসা বোনে। কোমল পালক ও ফুলের পাপড়ি দিয়ে বাসা তৈরি করে। সারা দিন শূন্যে উড়ে বেড়ায় আর রাতে বিশ্রাম নেয়। প্রতি ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার ওড়ে। প্রতি সেকেন্ডে ছোট্ট ডানা দুটি ৮০ বার ওঠানামা করতে পারে। যখন ওড়ে তখন তাদের ডানা দেখা যায় না। উড়তে উড়তে ক্লান্তিবোধ করলে অনায়াসে বাতাসে স্থির হয়ে ভেসে থাকতে পারে। এরা পায়ের ওপর ভর দিয়ে গাছের ডালে বসে থাকতে পারে না। পায়ের চেয়ে ডানার ওপর ভর বেশি দেয় এরা।

হামিং বার্ড প্রচুর খায়। এজন্য এদের শক্তি বেশি। মানুষের তুলনায় প্রয়োজনীয় ক্যালরি ৪০গুণ বেশি। পাখিটির দৈর্ঘ্য ৫.৭ সেন্টিমিটার, ওজন ১.৬ গ্রাম। একটা কাগজের খামের ওজনের সমতুল্য। এই পাখি হাঁটতে পারে না। এরা  সামনে, পিছনে সবদিকে সমান গতিতে উড়তে পারে। পৃথিবীতে প্রায় ৪০০ প্রজাতির হামিং বার্ড দেখতে পাওয়া যায়। একটি হামিং বার্ডের দেহে প্রায় ৯০০ পালক থাকে। মিনিটে ২৫০ বার শ্বাস নেয়। ৩০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে। সেকেন্ডে ৭০ বারের মতো ডানা ঝাপটায়। ওড়ার সময় মধু পান করে। এদের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে সময় লাগে প্রায় ৩ সপ্তাহ। তারপর এক মাসের মধ্যে বাচ্চা উড়তে শেখে।

হামিং বার্ড অনেকের প্রিয় পাখি, যদিও তারা পাখিটি কখনো নিজের চোখে দেখেনি।