নগর গিলেছে গ্রামকে এবং মানুষ বেড়েছে শহরে
আধুনিকতায় সেজেগুজে নিয়ে বর্ধিত লটবহরে
দিয়েছে অনেক চাকরি-বাকরি সুখের জীবনখানি
স্বাস্থ্য, শিক্ষা সব পরিষেবা দিয়েছিল হাতছানি।
এতকিছু নিয়ে আমজনতাও আমোদে আত্মহারা
এসব কিন্তু ঘটে চলেছিল পরিকল্পনা ছাড়া
আকাশ এখন দেখা যায় শুধু বহুতল ছাদ থেকে
ভাঙা কার্নিশে চিরকি কাটে না রোদ্দুর এঁকেবেঁকে।
পুকুর বুজেছে বাড়ি হবে বলে গাছ পড়েছিল কাটা
বস্তিগুলোতে অভাবী মানুষ, তাদের কপাল ফাটা
চিল বাড়ন্ত, চড়ুই আসে না শকুন মেলে না ভাগাড়ে
নগর শুধুই বেড়ে চলেছিল নিয়মিত একনাগাড়ে।
গাড়ি ছুটে চলে পাগলের মতো মানছে না সিগনাল
অফিস-যাত্রী স্কুলের পড়ুয়া যানজটে নাজেহাল
বক্তিমে ঝাড়া মাতব্বরের বেড়ে যায় আনাগোনা
ওরা নাকি এসে দূর করে দেবে শহুরে আবর্জনা।
ঘেরাও, মিছিল, পথ অবরোধ মানুষের ঘেউঘেউ
মাত্রা ছাড়ায় সব দূষণের আইন মানে না কেউ
পানীয়জলের জন্য সবাই টিপকলনির্ভর—
এত মানুষের চাপ নিতে গিয়ে নেমেছে জলের স্তর।
ধোঁয়াধুলো মাখা নগরায়নের অফুরান গ্যাঁড়াকল
হবে ছয়লাপ উড়ালপুলের বাড়বে শপিংমল
ভাবছি আবার ফিরে যাব গ্রামে, এখানে? উরিব্বাবা
সেখানেও ফের হানা দেয় যদি নগরায়নের থাবা!