শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ফুল

গ্রীষ্মের ফুল সুরভিরঙ্গন

আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০১৯, ২০:২৮

রঙ্গনের রয়েছে বাহারি রং—সাদা, লাল, গোলাপি, সোনালি। আমাদের দেশে লাল রঙের রঙ্গনই বেশি দেখা যায়। সাদা রঙের রঙ্গন চোখে পড়ে কম। মিষ্টি সুগন্ধ বা সৌরভ পেতে হলে খুঁজতে হবে সাদা রঙ্গন। যা অন্য কোনো রঙ্গনে পাওয়া যাবে না। আমাদের দেশে এটি সাদারঙ্গন, শ্বেতরঙ্গন, সুরভিরঙ্গন, সুগন্ধী রঙ্গন, গন্ধালরঙ্গন নামে পরিচিত। সৌরভে ভরা এ রঙ্গনের আদি নিবাস সিঙ্গাপুর। এরা গুল্ম বা ছোট আকৃতির বৃক্ষ। গাছ তিন থেকে ছয় মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। বৃদ্ধি ধীরগতি সম্পন্ন। গাছের কাণ্ড ও শাখা-প্রশাখা শক্ত মানের। শাখা-প্রশাখা ছড়ানো ও অধিক হয়। পাতা গাঢ় সবুজ, মধ্যশিরা স্পষ্ট, আকারে বল্লকার, দৈর্ঘ্য ৭ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার ও বেশ পুরু। বাগানের শোভা বর্ধনে রঙ্গন ফুল ও ফুলগাছের ভূমিকা অতুলনীয়।

রঙ্গন ফোটার মৌসুম প্রধানত গ্রীষ্ম। তাই তো গ্রীষ্মের শুরুতে প্রকৃতিতে নিজের অস্তিত্বের জানান দেয় সুরভিরঙ্গন। এর প্রস্ফুটন সময়কাল প্রায় বর্ষা ঋতু পর্যন্ত এবং তখনও গাছে কম পরিমাণে ফুল ফুটতে দেখা যায়। প্রায় প্রতি শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে গুচ্ছবদ্ধ থোকায় ফুল ধরে। ফুল ফুটন্ত গাছ বেশ নজরকাড়া এবং ফুলে বিভিন্ন পতঙ্গের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। ফুল আকারে ক্ষুদ্র ও নলাকৃতির, লম্বায় ৬ থেকে ৮ মিলিমিটার। ফুলের পাপড়ি সংখ্যা ৪ টি—মাঝে পরাগ অবস্থিত। নলাকৃতির ফুলে অসংখ্য পাপড়ি প্রষ্ফুটিত হয়ে তারকাখচিত থোকা ফুলে পরিণত হয়। ডাল কাটিং পদ্ধতির মাধ্যমে বংশ বিস্তার করা যায়। সরাসরি মাটিতে ও টবে রোপণ উপযোগী ফুলগাছ। উঁচু থেকে মাঝারি উঁচু ভূমি ও প্রায় সব ধরনের মাটিতে সুরভিরঙ্গন গাছ জন্মে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় এই ফুলগাছ বেশি দেখা যায়।

সুরভিরঙ্গন তার সৌরভ ছড়িয়ে দিক প্রকৃতির চারপাশে আর তারই সৌরভে সুরভিত হোক ফুলপ্রেমিদের হূদয়।