ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগে বিদ্যুত্ প্রতিমন্ত্রী
ইত্তেফাক রিপোর্ট
বিদ্যুত্, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জনবহুল দেশ হওয়ায় ব্যাপক পরিসরে সোলার প্যানেল বসানোর মতো প্রয়োজনীয় জমির সংকট দেশে রয়েছে। পাশাপাশি উচ্চমূল্যের কারণে বাংলাদেশে সোলারের মাধ্যমে বিদ্যুত্ উত্পাদন ব্যয়বহুলও। তা সত্ত্বেও সরকার সোলারসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে বিদ্যুত্ উত্পাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে। অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানির টেকসই সমাধানের পথেই হাঁটবে সরকার।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগ-২০১৯’-এর দ্বিতীয় দিনে ‘রিনিউয়েবল এনার্জি ইন ইন্দো-প্যাসিফিক’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) ও অবজারভার রিসার্স ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্যানেল বক্তা হিসেবে বিদ্যুত্ প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু সোলার নয়, সব ধরনের নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে বিদ্যুত্ উত্পাদনে বাংলাদেশ সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। এর পাশাপাশি সরকার নেপাল থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে উত্পাদিত বিদ্যুত্ আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়ে বিদ্যুত্ উত্পাদনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দাতাগোষ্ঠীর কাছ থেকে বিদ্যুত্ উত্পাদনের জন্য ফান্ড পাচ্ছি এবং তার যথাযথ বাস্তবায়নও হচ্ছে। প্রযুক্তিগত ব্যয়ের কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও সরকারের উদ্যোগের অভাব নেই।
অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (ওআরএফ) চেয়ারম্যান সঞ্জয় যোশীর সঞ্চালনায় সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ এনার্জির পরিচালক সাইফুল হক, ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক ফিন্যান্স অ্যান্ড পলিসির পরিচালক রথিন রায় ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এনভায়রনমেন্টাল চেঞ্জ ইনস্টিটিউটের গবেষক মালিহা মুজাম্মিল বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বের সামনে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি উত্পাদন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। এটি সবচেয়ে টেকসই পদ্ধতিও। কিন্তু কম খরচে এ পথে হাঁটার উপায় বের করা এখন জরুরি। আর সরকার এবং ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলোকেও জীবাশ্ম জ্বালানির বাইরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুত্ উত্পাদনে আন্তরিক চেষ্টা করতে হবে।