শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

এসডিজি অর্জনে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে

আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ২২:০১

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সরকারি ও বেসরকারি সকল সংস্থাকে একসাথে কাজ করতে হবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে দারিদ্র্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ২০৩০ সালের আগেই বাংলাদেশ এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে সফল হবে। গতকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পল্লি কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত এসডিজির লক্ষ্য ও ভবিষ্যত্ নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, এমপি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব সুলতানা আফরোজ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এ লক্ষ্য নির্ধারণে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, সে অর্থে এটি বাংলাদেশেরই লক্ষ্য। বাংলাদেশকে উদ্ভাবনের দেশ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন আর্থিক, প্রযুক্তিগত ও সামাজিক বাধাগুলো এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অন্তরায় হবে না। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, আয় বৈষম্য নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বাংলাদেশ অনন্য। সুলতানা আফরোজ বলেন, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের দারিদ্র্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সফল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ যাবতীয় উন্নয়নকে টেকসই করার ওপর আলোকপাত করেন। সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং তার সমাধানের উপায় উদ্ভাবনের ওপর তিনি জোর দেন। পিকেএসএফ অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশের ১৬টি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। এভাবে জাতীয় পর্যায়েও কাউকে বাদ না দিয়ে, সকলের সার্বিক জীবনমান উন্নয়ন নিশ্চিত করার ওপর তিনি জোর দেন। সেমিনারের প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (এসডিজি বিষয়ক) অতিরিক্ত সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন। অনুষ্ঠানের মূল আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ফেলো ড. এম. আসাদুজ্জামান।