ডা. সঞ্চিতা বর্মন
‘টিউমার’ শব্দটি সবার কাছে কমবেশি পরিচিত। জরায়ু বা ইউটেরাসে টিউমার হলে একে ইউটেরাইন ফাইব্রয়েড বলে। এটি উত্পত্তি স্থান জরায়ুর পেশি। এই টিউমার থেকে জরায়ুর ক্যান্সার হয় না। জরায়ুর ফাইব্রয়েডের কোনো নির্দিষ্ট উপসর্গ নেই। ফাইব্রয়েডের অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে উপসর্গ দেখা যায়। যেমন: বন্ধ্যাত্ব, মাসিকের সময় অতিরিক্ত ব্লিডিং, তলপেট ভারী ভাব, মৃদু থেকে তীব্র তলপেট ব্যথা ইত্যাদি। শরীরে ইস্ট্রোজেম ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে, শরীরের ওজন কম হলে জরায়ুতে ফাইব্রয়েড হবার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া বংশগত কারণেও জরায়ু ফাইব্রয়েড হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে সন্দেহ হলে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। পেলভিক এক্সাম, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, সিটি স্কেন, এমআরআই ইত্যাদির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হয়ে থাকে। জরায়ুর ফাইব্রয়েডের নানা ধরনের চিকিত্সা রয়েছে। রোগের ধরন ও উপসর্গ অনুযায়ী চিকিত্সা করা হয়। যাদের কোনো উপসর্গ থাকে না সেই ক্ষেত্রে মোনোপোজের পর টিউমার ছোটো হয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারির মাধ্যমে দূর করা হয়। তবে অধিক গুরুতর সমস্যা হলে জরায়ু কেটে বাদ দিতে হয়। জরায়ুর ফাইব্রয়েড একটি সহজ নিরাময় যোগ্য রোগ। সঠিক সময়ে চিকিত্সার মাধ্যমে একে সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব।
লেখক: ত্বক, লেজার অ্যান্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ