শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পাঁচ জন গ্রেফতার, দুই জনের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি

আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:১২

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার শান্তি নিকেতন এলাকায় ব্যবসায়ী শাহ মো. তোবারক হোসেন হত্যা মামলায় দোষ স্বীকার করে দুই আসামি গতকাল রবিবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্যদিকে একই সঙ্গে গ্রেফতার অপর তিন আসামির চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন তিন জনের দশ দিন করে রিমান্ড আবেদন এবং অপর দুই জনের স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে তিন আসামির চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে অপর দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে গত শনিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। ঐ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত ছুরি, দড়ি ও লুট করে নেওয়া ২ লাখ ৪২ হাজার টাকা উদ্ধার হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৫ ডিসেম্বর নিজ ফ্ল্যাটে খুন হন তোবারক হোসেন (৭০)। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোবারক হোসেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন। নিহত তোবারক রাজধানীর মহাখালীস্থ মামা প্লাজার মালিক। আর গ্রেফতারকৃতরা ঐ মার্কেটের কর্মচারী।

যে কারণে হত্যাকাণ্ড : মামলার তদন্ত সূত্র জানায়, তোবারক হোসেন রগচটা স্বভাবের ছিলেন। প্রায়ই গ্রেফতারকৃতদের  বকাঝকা করতেন। সম্প্রতি তাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২৫ ডিসেম্বর তারা বাড্ডার নদ্দায় একটি বাসায় বসে তোবারককে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তোবারক মার্কেট থেকে মাসে ৫ লাখ টাকা ভাড়া পেতেন। ঐ টাকা তিনি ব্যাংকে না রেখে বাসায় রাখতেন। হত্যার পর তাদের ঐ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। আসামি হাসানকে গত সপ্তাহে মার্কেটের পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে নিয়োগ দেন তোবারক। হাসানের সঙ্গে তোবারক ও গ্রেফতার অন্যদের পূর্ব পরিচয় ছিল। তাই হাসানকে সঙ্গে নিয়ে এ হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। হাসান তোবারকের বাড়িতে নিচ তলাতে থাকতেন। গত ২৫ ডিসেম্বর ভোরে নামাজের সময় হাসান বাড়ির প্রবেশগেট খুলে দিলে অন্যরা প্রবেশ করেন। তারা চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটের ডোরবেল বাজালে তোবারকের সহকারী সাইফুল দরজা খুলে দেন। এরপর তারা সাইফুলকে বেঁধে তোবারকের মাথা, কপাল, চোয়াল ও হাতে কোপ দেন এবং সাইফুলকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে হাসানই পুলিশকে ফোন দিয়ে তোবারককে হত্যার কথা জানান এবং দুর্বৃত্তরা তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে বলে পালিয়ে যান।