শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

তার সততা ও নিষ্ঠা নতুন প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয়

আপডেট : ২২ মার্চ ২০১৯, ২২:৪৯

 ‘শাহ আলমগীর সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে যেমন সোচ্চার ছিলেন তেমন এদেশে সাংবাদিকতাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিশ্রম করে গেছেন জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত। তিনি সততা ও নিষ্ঠার যে পরিচয় দিয়ে গেছেন তা নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের জন্য অনুকরণীয়।’

গতকাল শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের আয়োজিত ‘কীর্তিমান সাংবাদিক প্রয়াত শাহ আলমগীরের স্মরণসভায়’ বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্র-বিজেসি এই স্মরণসভার আয়োজন করে।

স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, সাংবাদিক শাহ আলমগীরের সাথে স্মৃতি নেই এমন সংবাদকর্মীর সংখ্যা খুবই কম। বক্তারা তাই তার সাথে কাটানো সময়ের নানা আনন্দ-বেদনার স্মৃতি তুলে ধরেন স্মরণসভায়। শুরুতে শাহ আলমগীরের স্মরণে প্রার্থনা সঙ্গীত ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রদর্শন করা হয় তার কর্মময় জীবনের একটি ভিডিও চিত্র। এরপর শাহ আলমগীরের নানা অবদানের কথা তুলে ধরেন সহকর্মী, সহযোদ্ধা ও বন্ধুরা।

অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীন, প্রধান তথ্য কমিশনার মোর্তুজা আহম্মদ, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মল বাবু, দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান, প্রথমআলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, দৈনিক সমকালের উপ-সম্পাদক অজয় দাশ গুপ্ত এবং শাহ আলমগীরের সহধর্মিণী ফৌজিয়া বেগম। বিজেসির চেয়ারম্যান ও মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা প্রধান রেজওয়ানুল হকের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্থার সদস্য সচিব ও একাত্তর টেলিভিশনের বার্তা প্রধান শাকিল আহমেদ। সভা পরিচালনা করেন বিজেসির ট্রাস্টি রাশেদ আহমেদ।

আলোচনা শেষে শাহ আলমগীরের পরিবারের হাতে বিজেসির পক্ষ থেকে একটি জলছবি স্মৃতি হিসেবে তুলে দেন জিটিভির প্রধান সম্পাদক ও বিজেসির অন্যতম ট্রাস্টি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।