শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রঙ নকশা পছন্দ হলেও সাইজ মেলে না

আপডেট : ২১ মে ২০১৯, ২২:০৮

শিশুদের পোশাক কিনতে হিমশিম

মোরশেদা ইয়াসমিন পিউ

‘শিশুর পোশাক কেনা-কাটায় রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে অভিভাবকদের। জামার ডিজাইন পছন্দ হয় তো রঙ পছন্দ হয় না। কারো বা পোশাকের সাইজ ঠিকমতো মিলছে না। এসব বিষয় শিশুরা ঠিকমতো বুঝতেও চায় না। ফলে শিশুদের পোশাক কেনাটা অভিভাবকদের জন্যে খুবই অস্থিরতার’— কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর আসাদগেট আড়ং এ কেনাকাটা করতে আসা রিয়াজউদ্দিন ও সায়কা সুলতানা দম্পতি। লালমাটিয়ার বাসিন্দা ওই দম্পতির দুই মেয়েকে নিয়ে পোশাক কিনতে হিমশিম অবস্থার কথা জানান। অন্য একজন অভিভাবক জানান, বাচ্চাদের পছন্দ মতো পোশাক না হলে কিংবা জোর করে একটা কিনে দিলে বাসায় গিয়ে তারা আবার গাল ফুলিয়ে বসে থাকে। তখন আরেক বিপদ। তাই খুব বুঝেশুনে শিশুদের পোশাক কিনতে হচ্ছে।

তবে ঈদে প্রথম কেনাকাটা শিশুদের দিয়ে শুরু হলেও, নানা বায়নার কারণে ঈদের আগে চাঁদরাত পর্যন্ত তাদের কেনাকাটা চলতেই থাকে বলে জানান ১১ বছরের প্রমামনির মা রওনক জাহান। অভিজাত শপিংমলগুলোতে শিশুদের সঙ্গে নিয়ে কেনাকাটা করতে দেখা যায় অভিভাবকদের। এ বছর গরমে ঈদ হওয়ায় সুতি কাপড়েরই প্রাধান্য।

গতকাল ধানমন্ডির অর্কিড প্লাজা, রাপা প্লাজা, জেনেটিক প্লাজা, মেট্রো শপিং মল, প্লাজা এ আর, অচার্ড পয়েন্ট, বসুন্ধরা সিটি, ইনফিনিটি, ইয়ালো, আর্টিসান, টেক্সমার্ট এসব শপিংমল ঘুরে দেখা যায় ঈদের কেনাকাটায় শিশুদের পোশাকের দোকানগুলোতে ভিড়। দোকানিরা বলছেন, শিশুদের সুতি ফ্রকগুলোই চলছে বেশি। তবে গরমে ঈদ হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের টপস ও টাইস চলছে ভালো। শিশুরা পছন্দ করছে—বিভিন্ন কার্টুন ছবির ক্যারেক্টারওয়ালা টিশার্ট বা টপস। গতকাল রাজধানী জুড়েই ছিল যানজট। অসহনীয় যানজটে শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা কিছুটা বিপাকেই ছিলেন।

ধানমন্ডি থেকে আসা রওশন আরা বলেন, ভিড়ের কারণে এখন মনে হচ্ছে, শিশুদের পোশাক রমজানের আগে কিনে রাখাই ভালো। কারণ এতো যানজট মাড়িয়ে শিশুদের নিয়ে শপিং করতে আসাই বোকামি। বসুন্ধরা সিটিতে ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানি কিছু পোশাক উঠেছে। ইন্ডিয়ান বিভিন্ন সিরিয়ালের কিংবা সিরিয়ালের নায়িকার নামে এসব পোশাক। এসব পোশাকের দাম সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। এসব পোশাক দেখে শিশুদের বায়না মেটাতে অনেকে হিমশিম খাচ্ছেন।

বসুন্ধরা সিটির সেলস বয় আরিফ হোসেন বলেন, শিশুদের জন্যে সুতি কাপড়ের পোশাক প্রাধান্য পেয়েছে বেশি। গরমে ঈদ হওয়ায় বাচ্চাদের মায়েরা সুতি কাপড় ছাড়া অন্য কোনো কাপড়ের পোশাক পরাতে চান না। যার কারণে সুতি কাপড়ের ওপরেই ডিজাইন করতে হয়েছে। আর রঙের মধ্যে আকাশি, পিঙ্ক, অপ-হোয়াইট, হাল্কা বেগুনি এসব রঙের পোশাক বেশি চলছে। তবে গাঢ় রঙের পোশাকও ঈদের জন্যে কিনছে অনেক অভিভাবক। শিশুরা অনেক সময় গাঢ় বা উজ্জ্বল রঙের দিকে চোখ রাখেন, তারা লাল, নীল, হলুদ এসব রঙ বেছে নেন। তাই এসব দিক মাথায় রেখে কিছু পোশাক রঙিন কিছু এক্সক্লুসিভ পোশাক রেখেছি। তবে দাম কিছুটা বেশি।