শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত

আপডেট : ১২ জুন ২০১৯, ২২:১৭

আন্তর্জাতিক ন্যাশ দিবসের গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা 

ইত্তেফাক রিপোর্ট

দেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। যাকে নন-অ্যালকোহলিক স্টিয়াটো হেপাটাইটিস (ন্যাশ) বলা হয়। সময় মতো প্রতিরোধ করতে না পারলে, লিভার সিরোসিসসহ লিভার ক্যানসারের মতো মরণঘাতী রোগের কারণ হতে পারে এ রোগটি।

গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আন্তর্জাতিক ন্যাশ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ সব কথা বলেন। ‘ফোরাম ফর দ্য স্টাডি অব দ্য লিভার’ এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, কায়িক শ্রমের অভাব ও ফাস্টফুড জাতীয় খাদ্যের কারণে রোগটি দেখা দেয়। তাছাড়া খাদ্যে ও ওষুধে ভেজালের কারণেও এ রোগ হয়ে থাকে। ভেজাল খাদ্য ও ভেজাল ওষুধ বিক্রয়কারীদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত।

মূল প্রবন্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, ফ্যাটি লিভার রোগটি বাংলাদেশে খুব পরিচিত না হলেও এতে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত কায়িক শ্রমের অভাবে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রোগটিতে মানুষের লিভারে চর্বি জমে লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। প্রাথমিকভাবে কোনো লক্ষণ না থাকায় এক সময় মারাত্মক আকার ধারণ করে ও অন্যান্য লিভারজনিত জটিল রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, হাঁটাহাঁটি না করা, ভেজাল ও ভাজাপোড়া খাদ্য গ্রহণ, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, কর্পোরেট কালচার এ রোগের কারণ। প্রেসক্রিশপন ছাড়া ওষুধ বিক্রি ও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে টিভিতে ওষুধের বিজ্ঞাপন দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

ডিপ্লোম্যাটিক করসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব এ সম্পর্কে বলেন, উন্নত বিশ্বে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফাস্টফুডের ক্ষতিকর দিক নিয়ে অনেক সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে উন্নত বিশ্বের ব্যবসায়ীরা এখন বাংলাদেশের দিকে ফাস্টফুডের বাজার সৃষ্টিতে মনোযোগ দিচ্ছে। আমাদেরও উচিত সচেতনতা বৃদ্ধি করা ও সতর্ক থাকা।

ফোরাম ফর দ্য স্টাডি অব দ্য লিভারের চেয়ারম্যান শহীদ জায়া শ্যামলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন— বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক (অব), মেজর জেনারেল (অব) মোহাম্মদ আলী শিকদার, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের এমডি মোহাম্মদ জাকির হোসেন প্রমুখ।