শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিচারহীনতায় বাড়ছে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা

আপডেট : ১৯ জুলাই ২০১৯, ২০:৪৩

সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সমাবেশে

জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

ইত্তেফাক রিপোর্ট

ধর্ষক-নিপীড়ক ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম। সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ  বলেছেন, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে তারা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তো  এবং বিচার কাজ দ্রুত সম্পন্ন হলে নারী-শিশুদের উপর এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত হতো না। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসুর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দিলরুবা নূরীর পরিচালনায় সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন ফোরামের ঢাকা নগর শাখার সদস্য রুখসানা আফরোজ আশা, নারী নেত্রী ডা. মনীষা চক্রবর্তী, জেসমিন আক্তার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মুক্তা বাড়ৈ প্রমুখ।

সমাবেশে শম্পা বসু বলেন, সারাদেশে নারী-শিশু নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই খুন-ধর্ষণ-অপহরণ-নির্যাতনের ঘটনা দেখা যায়। একটি নির্যাতনের ঘটনা বীভত্সতা ও  বর্বরতা আরেকটিকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ২ হাজার ৮৩ নারী-শিশু ধর্ষণ-হত্যা-যৌন নিপীড়ন-উত্ত্যক্তকরণসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

তিনি বলেন, বিশেষভাবে শিশু ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। শিশুদের নানা প্রলোভনে  ধর্ষণের পর হত্যা করা হচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, কন্যা শিশুদের একটি স্বাভাবিক শৈশব পাওয়াটাই অলীক কল্পনায় পরিণত হয়েছে।

বক্তরা আরো বলেন, নির্যাতনের প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে। ফেনীর নুসরাত অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিল বলে, তাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। নারী-শিশু নির্যাতন এতো ভয়াবহ মাত্রায় আসার অন্যতম কারণ বিচার না  হওয়া।

তারা বলেন, একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে, এসব ঘটনায় অপরাধীরা যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পেত তাহলে ধর্ষকরা ভয় পেত, সামাজিকভাবে যদি তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তো তাহলে এ ধরনের ঘটনা সমাজে কমে আসতো। কিন্তু তা না হয়ে নারীরা নির্যাতিত হয়ে বিচার চাইতে গিয়ে আবার নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এ সবই ধর্ষকদের আরো উত্সাহ যোগাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।