শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শিশুদের নাচ গান নাটকে মুখর শিল্পকলা

আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:৩৫

ইত্তেফাক রিপোর্ট

শিল্পকলায় চলছে শিশু উত্সব। গতকাল শিশু উত্সবের চতুর্থ দিনে একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে বিকালে স্বদেশ নাট্যাঙ্গন রাজবাড়ী পরিবেশন করে নাটক ময়না মেয়ের বিয়ে, জেলা শিল্পকলা একাডেমি নেত্রকোনা পরিবেশন করে নাটক জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন, আমাদের থিয়েটার দিনাজপুর পরিবেশন করে নাটক চোখ, সোনালি থিয়েটার সেতাবগঞ্জ দিনাজপুর পরিবেশন করে নাটক নরমেধ। একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি পিরোজপুর, ময়মনসিংহ, ঝালকাঠি, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নেত্রকোনা, রাজবাড়ী ও কুমিল্লার শিশুদল পরিবেশন করে আবৃত্তি, একক অভিনয় ও ৭ই মার্চের ভাষণ এবং সন্ধান লিটল থিয়েটার ঢাকা পরিবেশন করে নাটক হনন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি শিশু নাট্যদল পিরোজপুর পরিবেশন করে নাটক শেখ মুজিব আমার পিতা। একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে বিকালে শিশু থিয়েটার মুক্তাগাছা ময়মনসিংহ পরিবেশন করে নাটক খোকার গল্প, দ্যুতি: ফয়জুন্নেসা স্কুল নাট্য ও সাংস্কৃতিক দল কুমিল্লা পরিবেশন করে নাটক ছুটি, প্রগতি থিয়েটার পার্বতীপুর পরিবেশন করে নাটক জয়বাংলা একটি স্লোগান, অনসাম্বল থিয়েটার ময়মনসিংহ পরিবেশন করে নাটক মরা এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমি শিশু নাট্যদল লালমনিরহাট পরিবেশন করে নাটক গৃহস্থের একদিন। একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি পিরোজপুর, ময়মনসিংহ, ঝালকাঠি, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নেত্রকোনা, রাজবাড়ী, কুমিল্লা ও ঢাকা পরিবেশন করে সমবেত সংগীত, একক সংগীত ও সমবেত নৃত্য।

জেবার ক্যানভাসে প্রাণের গল্প

প্রকৃতি আর নারী তো সমার্থক। প্রাণের সৃষ্টির  পেছনে যেমন মা প্রকৃতির সৃষ্টির পেছনে বীজ। বীজই পৃথিবীর মা। পৃথিবীর প্রকৃতির সঙ্গে মানবজীবনের যোগসূত্র অনেক পুরোনো। প্রকৃতিতে সৃষ্টির এই বিবর্তন দেখতে দেখতেই রোমাঞ্চিত হয়েছেন শিল্পী ফারেহা জেবা। আর এই অভিজ্ঞতাই তুলে এনেছেন তার শিল্পকর্মে। মোহাম্মদপুর কলাকেন্দ্রে চলছে ফারেহা জেবার ‘একটি বীজের গল্প’ শীর্ষক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। বাগানে বসে আঁকতে আঁকতেই মাথায় ভাবনাটা আসে বলে জানান শিল্পী। তিনি বলেন, ‘বীজই তো পৃথিবীর মা। বীজের কোনো জাতীয়তা নেই, সীমানা নেই। বীজ থেকেই শুরু হয় সৃষ্টির আনন্দ। এই ভাবনা থেকেই কিছু ছবি ও শিল্পকর্ম তৈরি করা হয়েছে। সেগুলোই স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে। রয়েছে আঁকা ছবি, শিল্পবস্তু ও স্থাপনা।’ প্রদর্শনীর কিউরেটিং করেছেন শিল্পী ওয়াকিলুর রহমান। তিনি জানান, ‘প্রদর্শনীতে বোটানিক্যাল  মিউজিয়ামের মতো করেই দেখানো হয়েছে শিল্পীর কিছু কাজ। প্রকৃতিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে জেবার কাজে।’

ফারেহা জেবার ইতিমধ্যে সাতটি একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া দেশে-বিদেশে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক যৌথ প্রদর্শনীগুলোতে জায়গা করে নিয়েছে তার শিল্পকর্ম। বর্তমানে একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ফ্রিল্যান্স আর্টিস্ট এবং শিক্ষক হিসেবে তিনি কর্মরত আছেন। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত। ১/১১, ইকবাল রোডের চতুর্থ তলায় কলাকেন্দ্রে প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে।