বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে না পারা সমন্বিত ব্যর্থতা :জাতিসংঘ প্রতিনিধি

আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০১৯, ২১:৫৪

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমারকে চাপে রাখতে না পারাটা সবার সম্মিলিত ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতা শুধু জাতিসংঘের নয়, আরো অনেকের। গতকাল বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস-বিস) মিলনায়তনে গণমাধ্যমের কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা সংকট, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড, বাংলাদেশে জাতিসংঘ পরিচালিত সব ধরনের কার্যক্রমসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ডিক্যাব সভাপতি রাহীদ এজাজ ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব উপস্থিত ছিলেন। 

জাতিসংঘ প্রতিনিধি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও সংকট নিরসনে মিয়ানমারকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা রয়েছে। রোহিঙ্গা সংকটকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ বর্ণনা করে এর সমাধানে জটিলতার দিকগুলো তুলে ধরেন মিয়া সেপ্পো। সংকটের মূল কারণ মিয়ানমারে রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এর সমাধান আসবে বিভিন্ন দিক থেকে নানা উদ্যোগের মাধ্যমে। এই সংকটের দিকে অব্যাহত নজর ধরে রাখা এবং এটা নিয়ে আলোচনায় সদস্য দেশগুলোকে এক জায়গায় আনতে সক্ষম হয়েছে জাতিসংঘ।

সংকট নিরসনের পথ হিসেবে দুটি দিকের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। মিয়া সেপ্পো বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি, সেগুলো জটিল ও পরস্পর সম্পর্কিত। অবশ্যই প্রধান লক্ষ্যগুলোর একটি নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা।’ তার আগ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ওপর যে প্রভাব পড়ছে সেদিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের দিকে মনোযোগ দেওয়ার কথা বলেন তিনি। তার মতে, দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে সমাধানের ‘স্থায়িত্ব’। স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু হতে হবে। মিয়া সেপ্পো বলেন, যেকোনো সমাজে সত্য প্রকাশ করা, কঠিন সত্য তুলে ধরা ও কর্তৃপক্ষকে সত্য বলা গণমাধ্যমের অন্যতম কাজ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও আরো কয়েকটি বিধি-বিধান সেই কাজকে কঠিন করে তুলেছে। সরকার এই আইনকে সংশোধনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা রক্ষা করা জরুরি।